২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আমনের বাম্পার ফলনেও হাসি ফোটেনি কৃষকের মুখে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু মূল্য নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে বলে দাবী উপজেলা কৃষি দপ্তরের।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া, দক্ষিণ দাসপাড়া, গছানী ও বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠভরা পাকা আমন ধান। চাষিরা বলছেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তবে ন্যায্যমূল্য নিয়ে চিন্তায় রয়েছে তারা। বাম্পার ফলন আশা করলেও গত বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার কারণে এ বছরও ধানের মূল্য নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাদের দাবি, ধানের সঠিক দাম পেতে এখন থেকেই সরকারি তত্পরতা শুরু করা হোক।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৪২৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হলেও অর্জন হয়েছে ১৮হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। মাঠ ঘুরেও এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। তবে অসময়ের বন্যা সিত্রাং এ বেশ কিছু জমির ফসল ডুবে গেলেও সেগুলো নিয়ে চিন্তিত নয় কৃষিবিভাগ। তাদের দাবি, বন্যায় নীচু জমির ধান ডুবে গেলেও বন্যার স্থায়িত্ব কম থাকায় তেমন একটা ক্ষতি হয়নি আমনের।
এ ব্যাপারে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের কৃষক মোঃ ইউনুছ তালুকদার (৪৫), নশা মিয়া (৫৫), আলতাব হোসেন (৫৩) ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের সংকর চন্দ্র(৩৯), মজিদ হাওলাদার(৬৫) ও জামাল হোমেন(৫০) জানান, তারা সবাই বর্গাচাষী। প্রতি বছর চার-পাঁচ একর জমি চাষ করছেন। কীটনাশক, সার, সেচের পানি, শ্রমিকের মজুরি, মজুদ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্রমবর্ধমান খরচের পর ধানের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা চলতি বাজার তাদের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েক দিন যাবৎ শুর হয়েছে কিছু কিছু ধান কাটা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ জাফর আহম্মেদ বলেন, এ বছর আমাদের আমন ধানের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের দাম প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যদি ধানের ন্যায্যমূল্য পায় তবে ধানের উৎপাদন প্রতি বছর এভাবেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সর্বশেষ