আমি মানুষ হবো কবে?
সেই মানুষ! যেই মানুষ সৃষ্টিকর্তার স্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ।
সৃষ্টিকর্তা ঘোষনা দিলেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা তুমি!
আজ ধরার মাঝে শ্রেষ্ঠত্বকে কলুষিত করলাম আমি।।
ধরনীতে নানা পাপাচারে রইলাম হয়ে বেহুশ।।
সৃষ্টির শুরুতে পিতা মাতা যারা ছিলো, ছিলো নাতো কোন ব্যাবধান।
কেন ভিন্ন মতে পরিনত হলো? হিন্দু, মুসলমান আর বৈদ্য, খ্রষ্টান!
আরো কত ধর্ম, জাতি আছে এ বিশ্ব মাঝে, নাই তো তাহার শেষ।।
যুগে যুগে মহা মানবকে যারা করিয়েছে অতি সন্মান,
মনুষ্যত্বকে বিকাশিত করিয়া, তারা হয়েছে চির অম্লান।
জগত সংসারে এ মানুষের নাম, হবে নাকো কভূ শেষ।।
কর্মের মাঝে জেগে উঠে সেই প্রকৃত মানুষের জাতি,
অমানুষের শোষণে শোনা যায় তার আর্তনাত কান পাতি।
কাঁচা লোহা আর সোনা হলোনা, না ঘষে পাথর পরশ।।
ভালো মানুষের রুপে ঘুরেবেড়ায় কত হিংস্র হায়েনা।
অবুজ শিশুটিও তাই ধর্ষণ হত্যা থেকে রেহাই পেলো না?
বনের হিংস্র প্রাণীওতো এহেনো করেনা, ও এরা কি তাহলে মানুষ?
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা আরো ভজনালয় আছে যত,
আধিপত্যকে বিস্তার নিয়ে সংঘাতে কত শত।
যেথায় শান্তির বাণী প্রচারিবে,সেথায় অশান্তির দৃঢ় প্রয়াস।।
মহা মানবের পক্ষ থেকে আসলো এমন বাণী,
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা, করোনা হানাহানি।
এখন সেই ধর্মের পোষাক পরেই করছি লাখো জীবন নাশ।।
ওহে প্রকৃত মানুষ! তোমায় কোথায় পাবো?
পেলে তোমাতে মিশে তোমার মনের মানুষ হবো।
রাজিব’র কি মানুষ না হয়ে যাবে শেষ নিশ্বাস।।
লেখক-মোঃ রাজিব খান
বিশেষ প্রতিবেদক, বরিশাল বাণী