২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বোরহানউদ্দিনে ভোটারদের টাকা দেওয়ার ছবি ভাইরাল, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন

“আম্ফান” : বিশারকান্দিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

স্টাফ রিপোর্টারঃ ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন আম্ফানের দাপটে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের জেলাগুলোতে। উপকুল অতিক্রম করার সময় ভয়াবহ তান্ডব চালিয়েছে এসব এলাকায়।সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নিম্নাঞ্চল এবং কৃষক পরিবারগুলো। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার দরুন নিমাঞ্চলগুলোর কৃষি ক্ষেতগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গছে। বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নের অবস্থা খুবই সোচনীয়। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে এখানের শতকরা ৯০ ভাগ পরিবারের বাড়িই বন্যার পানিতে মারাত্মক ভাবে প্লাবিত হয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ লোকজনের বাড়িঘর কাচা হওয়ার ফলে এবং কাছাকাছি সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভালো উপায় না পেয়ে তারা নিকটআত্নিয়ের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহন করে।তবে অনেকেই ঝুকি নিয়ে উৎকন্ঠায় রাত্রি যাপন করেছে নিজ আবাসস্থলে। এখানকার ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর হওয়াতে তাদের আয়ের প্রধান উৎস হলো কৃষি। কিন্তু আম্ফানের ধ্বংসলীলায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে বেশির ভাগ কৃষি ক্ষেতগুলো। বিশেষ করে এখানের বর্তমান মৌসুমি প্রধান অর্থকারী ফসল আখের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।তাছাড়া নিম্নাঞ্চল হওয়াতে সামান্য পানিতেই তলিয়ে গেছে অধিকাংশ মাছের ঘের। স্থানীয়দের ধারনা যে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭-৮ ফুট উচ্চতায় পানি হয়েছে। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন শতকরা ৮০ ভাগ দরিদ্র কৃষক। তারা সকলেই নিম্ন আয়ের হওয়ায় অপ্রত্যাশিত ক্ষতিতে এখন তারা দিশেহারা। তাদের এই দুরাবস্থার রেশ কাটিয়ে উঠতে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন। তারা বলেন যে করোনার কারনে অনেকদিন থেকে কোনো কাজে বের হতে পারেন না আর আজ শেষ ভরসা মাছের ঘের আর আক্ষের ক্ষেতগুলোও হারালাম। এ যেনো মরার উপর খারার ঘা। তারা আরো বলেন, যে মোরা গ্রামের মানুষ হেইল্লাইজ্ঞা কেউ মোগো দারে আয়ও না আর মোগো দুখের কতা কেউ হোনেও না। হগোলডি খালি শহরের মানুষগো লইয়া ব্যাস্ত। ত্যায় আমনে যহন আইছেন আমনহেরে ম্যালা ধন্যবাদ।

সর্বশেষ