নিজস্ব প্রতিবেদক ::: স্থানীয় সরকারের সব ধরণের নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বলায় এবং তা দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।
অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের ছবি সম্বলিত পোষ্টার ছাপিয়ে এলাকাবাসীর কাছে দোয়া যাচ্ছেন। সদর উপজেলা এবং বরিশালের আশপাশের উপজেলা গুলোতে খোজ খবর নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া যায়। এমনকি সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনলাইন নিউজ পোর্টালে নিজেদের সাফাই গেয়ে খবর শিরোনাম হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এতে বাদ যাচ্ছে না পেপার-পত্রিকাও।
ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, এমনকি চায়ের দোকানেও কে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।অন্যদিকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বর প্রার্থীদের অনেকেই নিজ নিজ ইউনিয়নে রাজনৈতিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এবং বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে জানান দিচ্ছেন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা। যারা প্রার্থী হবেন তারাও স্ব-স্ব দলের তৃনমুল হতে শুরু করে জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন যাতে আগামী নির্বাচনে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।ইউনিয়নের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়।
আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নতুন ছাড়াও এ পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা অনেকই বর্তমান চেয়ারম্যান ও মেম্বর। তবে ২০২১সালের ইউপি নির্বাচনে কারা প্রার্থী হবেন তা দলের নীতিনির্ধারকরা যাচাই বাচাই করে ঠিক করবেন বলে জানান।
উল্লেখ, গত ২০১৬ সালে বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে দলীয় প্রতিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এতে ২টি বাদে সবকটিতেই ক্ষমতাসীন আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে আছেন।