১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ইটভাটায় করাতকল ! হুমকির মুখে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের ৩ ইটভাটায় মঙ্গলবার দুপুরে করাত কল বসিয়ে কাঠ কাটার অভিযোগে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল ইসলাম। ইটভাটাগুলো হলো নুরুজ্জামান হাওলাদার এডিবি ও জসিম মৃধার মৃধা ব্রীকস এবং মধু মৃধার ফাইস্টার।
উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ২২ টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে এডিবি, মৃধা, ফাইভ স্টার, এমকেএস, এইচআরটি, এসএসবি ও এমসিকে ইটভাটাগুলোতে নেই কোন নিদৃষ্ট আকারের ড্রাম চিমনী, রয়েছে প্রতিটি ইটভাটায় করাতকল (স্ব-মিল)।
গত ১৭ জানুয়ারী ওই ইট ভাটাগুলোতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন হক ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৭টি ইটভাটার মালিককে দুই লক্ষ টাকা করে ১৪ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন এবং একই সাথে ইটভাটাগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ সালের ৬ ধারায় উল্লেখ আছে কোন ব্যাক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানী হিসেবে কোন কাঠ ব্যবহার করতে পারবে না। ৮ ধারায় আরো উল্লেখ আছে আবাসিক, সংরক্ষিত বা বানিজ্যিক এলাকা ও কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করতে পারিবে না। এ ধারাগুলো লংঘণ করলে তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক তিন লক্ষ টাকা অর্থদন্ত ও উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
আমতলী বন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, ইটভাটায় করাতকল বসিয়ে কাঠ চেরাই করাা সম্পুর্ন বে-আইনী। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোতে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা এড়িয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মোঃনাজমুল ইসলাম বলেন ৩ টি ইট ভাটায করাত কল বসিয়ে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইট ভাটাথেকে করাত কল সরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিযুষ চন্দ্র দে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ