২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ বোরহানউদ্দিনে ভোটারদের টাকা দেওয়ার ছবি ভাইরাল, ক্ষমা চাইলেন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন ঘিরে ভোলার উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড মোতায়েন

ইন্দুরকানীতে পানির অভাবে ১২ বছরেও চিকিৎসা শুরু হয়নি হাসপাতালে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি :: সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করেও শুধুমাত্র পানির অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার লাখো মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত অফিস ব্যবস্থাপনা থাকলেও গত ১২ বছরেও চালু হয়নি ইনডোর সেবা অথবা আবাসিক চিকিৎসা।

বর্তমান সরকার জনগণের দ্বোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের মান বৃদ্ধির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিকেলের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত করেছে অফিস ব্যবস্থাপনা। এত কিছু থাকলেও গত ১২ বছরেও চালু হয়নি হাসপাতালটির ইনডোর সেবা বা আবাসিক চিকিৎসা।

স্থানীয় রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ইন্দুরকানী হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয়নি শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানির অভাবে। ফলে এ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং উন্নত মানের চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল এমনকি ঢাকাতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের উন্নয়নে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও মূল সমস্যা বিশুদ্ধ পানির অভাব। পানি সমস্যা সমাধানে কাজ করেনি কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই চালু হচ্ছে না আবাসিক চিকিৎসা।

 

এদিকে হাসপাতালটিতে লোকবলেও রয়েছে সংকট। আবার যারা দায়িত্বে আছেন মানছেন না অফিস টাইম। হাসপাতালটির হাজিরা খাতায় দেখা যায় প্রধান সহকারী খালেদা নাসরিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই নিয়মিত।

শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নৈশপ্রহরী দিয়ে চালানো হচ্ছে জরুরি বিভাগ।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আমিন-উল ইসলাম বলেন, পানি সমস্যা সমাধান হলে আবাসিক চিকিৎসা দিতে পারব।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার বলেন, দ্রুতই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রতিদিন শত শত রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু ইনডোর সেবা চালু না থাকার কারণে তাদের জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে। তাই এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী জনগণের।

সর্বশেষ