পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাবেক স্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়ে শিকলবন্ধি হয়েছেন মুন্না ফরাজী নামের এক যুবক। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার তাকে করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোড়েলগঞ্জের ছোট পরী গ্রামের ইউনুস ফরাজীর ছেলে মুন্না ফরাজীর সাথে একই এলাকার কাদেরের মেয়ে কাকুলীর বাল্যপ্রেম থেকে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে কাকুলীকে তার অভিভাবকরা ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ এলাকার কবির জোমাদ্দারের সাথে বিয়ে দেয়। কবির জোমাদ্দার দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার সুযোগে কাকুলী কবিরকে ডিভোর্স দিয়ে আবারো মুন্নার সাথে বিয়ে বসে। পরবর্তীতে কবির জোমাদ্দার বিদেশ থেকে এসে আবারো কাকুলীকে বিবাহ করে। সম্প্রতি উপজেলার বটতলা এলাকায় কাকুলী বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার গোপনে মুন্না ফরাজী প্রেমিকা কাকুলীর সাথে দেখা করতে এলে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে ব্যাপক মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনাটি জানাজানি হলে শিকল পরানো অবস্থায় কবির জোমাদ্দার মুন্নাকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ কবির জোমাদ্দার ও ফজলুল হক জোমাদ্দারকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইন্দুরকানী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন- কাকুলীর সাবেক স্বামী মুন্না দেখা করতে আসলে তাকে মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।