উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি ::: বরিশালের উজিরপুরে চাচার ধর্ষণে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে পড়েছেন নবম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। এ ঘটনায় রবিবার (২২ মে) মধ্য রাতে উজিরপুর মডেল থানায় মামলার পর অভিযুক্ত আলমগীর সিকদার (৫২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের কেশবকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, পুলিশ হেফাজতে ছাত্রীর চিকিৎসা চলছে।
পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫/৬ মাস আগে কেশবকাঠী গ্রামেরর একই বাড়ির মৃত রশিদ সিকদারের ছেলে আলমগীর সিকদারের ফুপাতো ভাইয়ের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী বসতঘরে অভাধে যাওয়া-আসা করতেন। ওইদিন দুপুরবেলা বাড়িতে কেউ না থাকায় এই সুযোগে আলমগীর জোরপূর্বক নবম শ্রেণির ছাত্রী ভাতিজিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ছাত্রীকে হুমকি দেয় আলমগীর। এভাবে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী।
পুলিশ আরও জানায়, এদিকে ( ২০ মে) অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী। ঘটনা জানার পর ছাত্রীর অসহায় বাবা, আলমগীরকে প্রধান আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রবিবার ভোররাতে কেশবকাঠি থেকে আলমগীর সিকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার বাদী ওই ছাত্রীর অসহায় বাবা ও তার পরিবার অভিযুক্ত আলমগীর সিকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার এসআই শফিক বলেন, ‘মামলার পর ধর্ষণের মূলহোতা আলমগীর সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা চলছে। ভিকটিমের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায়, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল আহসান বলেন, ‘অভিযুক্ত আলমগীর সিকদারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
