উজিরপুর প্রতিনিধি :: বরিশালের উজিরপুরে গুঠিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হানুয়া জামে মসজিদের ইমামের পায়ু পথে বাঁশের টুকরো, কাপড়রের টুকরা ও কাগজ ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০২ অক্টোবর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় গুঠিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হানুয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়ের আহমেদ নিজ কক্ষে বসে কোরআন তিলওয়াত করার সময় দূর্বৃত্তরা ঘরে ডুকে তার মুখে কাপড় মুড়িয়ে দিয়ে তাকে বেধরক মারধর করে এবং পায়ু পথে এক পর্যায়ে বাঁশের টুনির টুকরো, কাপড়ের টুকরো এবং কাগজ ঢুকিয়ে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে পায়ু পথ ফেটে রক্তক্ষরন হতে থাকে। এসময় তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা ওই ইমামকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।
দক্ষিণ হানুয়া জামে মসজিদ কমিটির সহ- সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খান জানান, ইমাম জুবায়ের আমাদের এই মসজিদে ২০ দিন হয়েছ আসছে। কি কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে আমার জানা নেই। ঘটনাটি শুনে দৌঁড়ে গিয়ে হুজরেকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে সু-চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি।
এ ব্যাপরে ওই মসজিদের ইমাম মাওঃ জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমার সাথে কারোর শত্রুতা নেই। সেই দিন রাতে মুখোস পড়ে দুইজন লোক আমার রুমে ঢুকে হাত পা বেধে অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি কাউকে চিনতে পারিনি তবে এর আগে পার্শ্ববর্তী বানারীপাড়া উপজেলার ঘাটপাড়া গ্রামে যখন ইমামতি করেছি তখন ওই এলাকার মাওলানা নুরুল আমিন কাওসার, জিয়া খান এবং সিদ্দিক ডাকুয়ার সাথে বিরোধ ছিলো তাই সেখান থেকে চলে আসছি। তাই আমি উল্লেখিত ব্যাক্তিদের আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযুক্ত নুরুল আমিন কাওসার বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার দিন বানারীপাড়া আমার নিজ বাড়ীতে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।