৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উজিরপুরে মাদরাসার শ্রেণিকক্ষে যুবদলের ইফতার মাহফিল, স্থানীয়দের ক্ষোভ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুরে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনিকক্ষে ইফতার মাহফিল করেছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, ইফতার মাহফিলের আড়ালে যুবদলের ওইসব নেতাকর্মীরা ঘরোয়াভাবে দলীয় গোপন সভা করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) উপজেলার বড়াকোঠা ইউপির মালিকান্দা মাহামুদিয়া আলিম মাদরাসার একটি শ্রেণিকক্ষে স্থানীয় যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের আয়োজনে কথিত ওই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন, বরিশাল জেলা যুবদলের সদস্য রিয়াজ সিকদার, উপজেলা যুবদল নেতা মাইনুল তালুকদার, তাইজুল ইসলাম, মো. হাফিজুর, মো. আলী জাকের মল্লিকসহ আরও অনেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়াকোঠা ইউনিয়ন যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম তার দলীয় সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি ইফতার মাহফিল ও দলীয় গোপন সভার অয়োজন করে। পরবর্তীতে সাইফুল এলাকার যুবকদের নিয়ে ইফতার করবেন জানিয়ে ওই মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মো. আবুল ইসলামের কাছ থেকে শ্রেণিকক্ষের চাবি নেন। সেখানেই তারা ইফতার মাহফিলের পাশাপাশি দলীয় গোপন সভা করেন।

এ বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। উপজেলা যুবদল নেতা মাইনুল তালুকদারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া জেলা যুবদল নেতা রিয়াজ সিকদারকে কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

মালিকান্দা আলিম মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও ইউনিয়ন ওলামালীগের সভাপতি মো. আবুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইফুল নামের এলাকার এক যুবক ইফতার মাহফিল করবে বলে আমার কাছ থেকে মাদরাসার একটি কক্ষের চাবি নিয়েছে। তবে ইফতার মাহফিল যুবদল কিংবা বিএনপির ছিলো কিনা তা আমার জানা নেই।

মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. এনামুল হক জানান, মাদরাসার শ্রেনিকক্ষে ইফতার মাহফিলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রশিদ।

তিনি বলেন, মাদরাসায় ইফতার মাহফিলের বিষয়ে আমার নিকট থেকে কেউ কোনো অনুমতি নেয়নি। ইফতার মাহফিলে যারা ছিলেন সকলেই বিএনপির পদধারী লোকজন। তাছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই রাজনৈতিক দলের কোনো ধরনের কর্মসূচি নিয়ম বর্হিভূত।

ভাইস প্রিন্সিপালের অনুমতি দিতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আব্দুর রশিদ বলেন, প্রিন্সিপাল এবং সভাপতিকে না জানিয়ে তিনি কোনোভাবেই অনুমতি দিতে পারেন না। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত এসব ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো। রমজানের শুরু থেকেই প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ইফতারের ব্যানারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক সভার আয়োজন করছে দলটি। ইফতার কেন্দ্রিক এসব সভায় দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবির পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে দিক নির্দেশনা।

সর্বশেষ