২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উজিরপুরে মা ও ছেলেকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে অচেতন করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

উজিরপুর প্রতিনিধি :: বরিশালে উজিরপুরে মা ও ছেলেকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও পরিহিত স্বর্ণালংকার লুট করেছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও আহত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামুরা বন্দরের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আব্দুল ছালাম খন্দকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একই গ্রামের নবী ফকিরের ছেলে বখাটে সৈকত ফকির(২৪), সিদ্দিক ফকির(৪০) মিলে কিছুদিন পূর্বে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা ব্যবসায়ী পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ মে বিকাল ৫টায় ব্যবসায়ী ছালাম খন্দকারের বসতঘরে ঢুকে সৈকত ও সিদ্দিক পুনরায় চাঁদা দাবী করে। এ সময় ছালাম বাড়িতে না থাকায় তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে খন্দকার শাকিল আহমেদ(১৭) কে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং তার বাবাকে তাৎক্ষণিক বাড়িতে হাজির করার কথা বলে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাকিলকে এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে। তার ডাক চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে মা সাথী বেগম ছুটে এসে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে অচেতন করে ফেলেছে এবং এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিছানায় বালিশের নিচে থাকা গচ্ছিত ৫০ হাজার টাকা ও পরিহিত স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ঘটনার দিন আহত সাথী বেগমের স্বামী আঃ ছালাম খন্দকার বাদী হয়ে সৈকত ফকির, ছিদ্দিক ফকির, কুদ্দুস ফকির, বাবু ফকিরের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগী ছালাম খন্দকার জানান, সৈকত ও ছিদ্দিক তাদের দুই ভাই প্রভাবশালী নেতা কুদ্দুস ফকির ও বাবু ফকিরের দাপটে প্রায়ই তারা এলাকায় চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। আমার কাছে মাদকসেবী সন্ত্রাসী সৈকত ও ছিদ্দিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। মূলত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমার বসতঘরে ঢুকে আমাকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে পিটিয়ে অচেতন করে ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে আমার স্ত্রী বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এলাকায় তারা যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। একের পর এক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যাচ্ছে। অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই বখাটে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন আহত’র পরিবার।’’

সর্বশেষ