১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজন নিখিল সেন’র ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী আজ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরিশাল বাণী: একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজন নিখিল সেন’র চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি ২০১৯ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন। তিনি একাধারে আবৃত্তিশিল্পী, নাট্য নির্দেশক, সংগঠক, সাংবাদিকতার সাথে নিজেকে সমৃক্ত রেখেছিলেন। তার কর্মক্ষেত্র ছিল উদীচী ও বরিশাল নাটক এবং শহীদ আব্দর রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল প্রেসক্লাব।
তিনি ১৯৩১ সালের ১৬ এপ্রিল বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুরের কলসগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম যতীশ চন্দ্র সেনগুপ্ত এবং মাতা ছিলেন সরোজিনী সেনগুপ্তা। পেশায় ছিলেন শিক্ষক এবং সাংবাদিক।
১৯৫২ সালের জুলাই মাসে বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী হাইস্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি কাজ শুরু করেন ‘সংবাদ’ পত্রিকায়। এরপর বরিশালের পত্রিকা ‘লোকবাণী’ তে সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মুখপত্র ‘নতুন বাংলা’ ও কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র ‘একতা’ য় কাজ করেন দীর্ঘদিন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পতাকাতলে নিজেকে যুক্ত করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৫৩ সালে তৎকালীন জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১৯৫৫ সনে যুগ্ম সম্পাদক এবং ১৯৫৭ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পঞ্চাশের দশকে শাসক গোষ্ঠির নিষ্পেষণে তিন বার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে কয়েক মাস তাকে নজর বন্দি করে রাখা হয়।
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে শুরু করেন সকল প্রগতিশীল এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

সর্বশেষ