২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এবার আর মার খেতে রাজি নই : মির্জা ফখরুল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এ দেশের কোন অস্তিত্ব থাকবে না, এই জাতির কোন অস্তিত্ব থাকবে না। নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাদের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আগের মতো ভোট লুট করে নিয়ে যাবে, চুরি করে নিয়ে যাবে। আমরা সেই নির্বাচন করতে দেবো না? আমরা বাংলাদেশের মানুষ বার বার মার খাচ্ছি। এবার আর মার খেতে রাজি নই।

রবিবার বিকালে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, জেলা বিএনপির নেতা তমিজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ অংশ নেন।

নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়ে পদযাত্রা ২ কিলোমিটার দূরে বক্সবাজার মোড়ে এসে শেষ হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি এবং যুব দল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন।

বিএনপি সারাদেশে জেলায় জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ঢাকা জেলা বিএনপি এই কর্মসূচি পালন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মধ্যদিয়ে সোচ্চার হয়ে সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ১০ দফা দিয়েছি। তোমরা অবিলম্বে পদত্যাগ করো, সংসদকে ভেঙে দাও এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দাও। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষভাবে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। জনগণ সেখানে ভোট দেবে। যার ভোট সে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, এরা সবাই ফুলে ফুলে এক একটা কলা গাছ হয়ে গেছে। যার পায়ে স্যান্ডেল ছিল না- সে এখন বিরাট বড় গাড়ি চালায়। বড় বড় বাড়ি তৈরি করেছে। এরা সব আওয়ামী লীগের লোকেরা। এই বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে নিয়ে, ট্যাক্সের টাকা চুরি করে নিয়েছে এরা। তাই আমরা এই সংগ্রাম শুরু করেছি দেশ ও মানুষকে রক্ষা করার জন্য। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৯০ এর আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ- বাংলাদেশে যত পরিবর্তন হয়েছে, সবকিছু তরুণ-যুবকরা করেছে। তরুণদের বলবো, আপনারা এগিয়ে আসুন।

পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে হবে, পরিবর্তন করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই ভয়াবহ সরকারকে পরাজিত করে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আজকে প্রায় ১৫ বছর ধরে এই আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে, পুলিশকে ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে ক্ষমতায় দখল করে আছে। আমাদের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আবার তারা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তারা বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে। এই সংবিধানতো কেটে ছিঁড়ে তোমরাই তৈরি করেছ। মানুষ বলছে- আগে জানলে তোমার ভাঙ্গা নৌকায় উঠতাম না। এ সরকারকে আর থাকতে দেওয়া যাবে না।

সর্বশেষ