নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ইন্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেছেন, ভোট চুরির আশংকা বেড়ে গেছে। সরকারের বিশেষ বাহিনী তৎপর রয়েছে কিভাবে ভোট ডাকাতি করা যায়। আমাদের কাছে খবর আছে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গোপন মিটিং করছেন। এসব তামাশা বন্ধ করুন ফলাফল ভালো হবে না। এবার ভোট ডাকাতি করে পার পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, সামনে পিছনে পুলিশ পাহারায় আজো নগরীতে ফ্ল্যাগ নিয়ে কে প্রবেশ করেছে কি কারনে প্রবেশ করেছে আমরা জানতে চাই। বরিশালবাসী জেগে উঠেছে কাউকে লুটপাট করতে আমরা দেবনা। খবর আছে। মনে রাখবেন আপনাদের পায়ের নীচে মাটি নেই। প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পড়ে মাঠে থাকবো। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিনা। লুটপাটের দিন শেষ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। চুরি করলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। বরিশাল থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।
তাপস বলে- জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের হবে। আমরা বিজয়ী হলে বিশিষ্ট মুরব্বিদের সাথে পরামর্শ করে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত হবে। আমি নিজে চুরি করবো না কাউকে বঞ্চিত করতে দেবনা। চোর ডাকাতরা হুশিয়ার। কোন সুযোগ নেই দুর্নীতি করার।
বুধবার (৭ জুন) বিকাল সাড়ে ৪ টায় নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডের সাগরদি কারিকর ব্রাঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল করিম ভূইয়া বলেন, আমরা দেখতে এসেছি কারা এবার চুরি করে। ভয় পাবেন না ওদের চুরি করার সাহস নেই।
প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, সারাদিন নগরী ঘুরে দেখলাম।এবার ভোট হলে লাঙ্গলের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, পাগলা ঘন্টা বেজে উঠেছে।সাবধান এবার চুরি করার চেষ্টা করলে পরিনতি ভয়াবহ হবে।
রত্নগর্ভা মা ইসমত আরা ইকবাল বলেন, তাপসকে ভোট দিলে নগরীর চেহারা বদলে দেবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, রফিকুল ইসলাম গফুর, এডভোকেট এম এ জলিল, এস রহমান পারভেজ, নজরুল ইসলাম হেমায়েত, অধ্যাপক গিয়াস, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।