৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে তিন শিক্ষক আটক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক সহকারী শিক্ষক ও দুই খণ্ডকালীন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
োমঙ্গলবার উপজেলার মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটক শিক্ষকরা হলেন- মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিত বিশ্বাস (৩২), খণ্ডকালীন গণিত বিষয়ের শিক্ষক মো. তৈয়ব (৩২) ও সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক রিমা বেগম (২৭)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হওয়ায় মঙ্গলবার নিয়মানুযায়ী ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক সুজিতের কেন্দ্রে দায়িত্ব থাকার কথা নয়। খণ্ডকালীন শিক্ষকদেরও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। অথচ অনধিকার তারা কেন্দ্রে অবস্থান করে অসদুপায় অবলম্বন করেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার এসএসসির ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা চলাকালীন সকাল সাড়ে ১০টায় মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের একটি কক্ষের বাহিরে তালা লাগিয়ে ভেতরে ওই তিন শিক্ষক অবস্থান করে প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রস্তুত করছিল। এ সময় ওই কক্ষের তালা খুলে হাতেনাতে তাদের আটক করে কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তা আইসিটির সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান।
পরীক্ষা কেন্দ্রের তদারকি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ হাসান বলেন, মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিশ্রাম কক্ষের দুইটি দরজাই বাহির থেকে তালা দেওয়া ছিল। কিন্তু কক্ষের ভেতর মানুষের শব্দ শুনে আমার সন্দেহ হয়। জানালা দিয়ে দেখি কয়েকজন লোক আছে। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে চাবি এনে কক্ষ খুলে দেখতে পাই তিন শিক্ষককে। তারা ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নের উত্তর কাগজে লিখে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় উত্তর লেখা কাগজ উদ্ধার করা গেলেও প্রশ্নপত্র গায়েব করে ফেলেন তারা। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কেন্দ্রে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৯ ধরার (ক) মোতাবেক অপরাধ করেছেন তারা। তাই মোবাইল কোর্ট ২০০৯ এর ৫৯ নম্বর আইনের ৪ ও ৫ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, তিন শিক্ষক আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ