১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এসিল্যান্ডকে ঘুষ দিতে গিয়ে শ্রীঘরে আতিক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জুলফিকার আমীন : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে ঘুষ দেয়ার চেস্টার অভিযোগে আতিকুর রহমান (৩৮) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার সন্ধায় ওই ঘুষের টাকাসহ আতিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের আব্দুর মালেক মিয়ার ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আতিকুর রহমান নিজেকে নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় মঠবাড়িয়া ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অবৈধ তৎবির করতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালায়। জনৈক জহিরুল ইসলামকে সরকারি একসনা বন্দবস্ত দেয়া ১০ বর্গ মিটার জমি নিজ নামে লীজ নেয়ার জন্য মঙ্গলবার সন্ধায় আতিকুর রহমান এসিল্যান্ড সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে তার কার্যলয়ে ঘুষ গ্রহনের জন্য চাপ দেয়। এসময় এসিল্যান্ড এর সাথে ত্বর্কের এক পর্যায় অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে এলে তাদের ধাক্কা দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘুষের টাকাসহ আতিকুর রহমানকে আটক করে।

এঘটনায় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আতিক উল্যাহ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাঁধা ও ঘুষ গ্রহণে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে আতিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মঙ্গলবার রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আতিকুর রহমানকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মঠবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ নেতা খুনের ঘটনার মূল পরিকল্পণাকারি গ্রেপ্তার

জুলফিকার আমীন : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেম ও পূর্ব শত্রæতার জের কিশোর গ্যাংয়ের এলোপথারী ছুরিকাঘাতে নিহত ছাত্রলীগ নেতা রাহাত হোসেন (২০) হত্যার মূল পরিকল্পণাকারি রনি (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাশর্^বতী উপজেলা পাথরঘাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রনি টিয়ারখালী গ্রামের বাহাদুর খানের ছেলে। রাহাত হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ এ যাবৎ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিরা হলো উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের মহারাজ মালের ছেলে শাওন মাল (১৭), আলী ফরাজীর ছেলে আসাদুল ফরাজী (১১), দুর্গাপুর গ্রামের রুহুল আমিন মোল্লার ছেলে নাদিম মোল্লা (১৭)। ও সন্দেহভাজন হিসেবে চুন্নু মিয়া ও সেন্টুকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত রাহাত হোসেন উপজেলার দক্ষিণ গুলিসাখালী গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার ছেলে ও গুলিসাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি এবং ডৌয়াতলা ওয়াজেদিয়া কলেজের একাদ্বশ শ্রেণীর শেষ বর্ষের ছাত্র। নিহত রাহাতের বাবা শাহ আলম হাওলাদার বাদি হয়ে গত রোববার ১২ জন নামীয়সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে উপজেলার টিয়ারখালী আ. মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা শেষে শুভ তার বন্ধুদের নিয়ে গুলিসাখালী আসার পথে বোবা বাড়ি নামক স্থানে পৌছলে প্রেম ও পূর্ব শত্রæতার জেরে রনি ও সাব্বিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শুভ’র উপর হামলা চালায়। এসময় শুভকে বাঁচাতে তার বন্ধুরা এগিয়ে আসলে দেশীয় অস্ত্রের এলোপাথারি কোপে রাহাত, সানাউল, আরিফ ও আঃ লতিফ আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাহাত হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, গ্রেপ্তারকুত রনিকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও এজাহারভুক্ত অপর তিন আসামি ও সন্দেহভাজন দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ