১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

এহসান গ্রুপের দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসৎ পিরোজপুরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এহসানের ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মানববন্ধন করেছেন এহসানের ভুক্তভোগী সদস্য ও কর্মীরা। রোববার (১৮ জুলাই) সকালে পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন (পুরাতন সিও অফিস) এহসান গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী নারী ও পুরুষদের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জামানত সংগ্রহকারী ফিল্ড অফিসার (এফও) ও পুজি ফেরত পাওয়ার জন্য আন্দোলন কমিটির আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, ফিল্ড কর্মী মাওলানা মো. হার“ন অর রশিদ, মো, জালাল উদ্দিন, সার্জেন্ট আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

জেলার সদর উপজেলার জুজখোলা গ্রামের মো. মোঃ কামাল জানান, তার ২০ লাখ টাকা এহসানের কাছে ব্যবসার জন্য জমা দেয়া। কিন্তু এহসান গ্রুপ গত ২ বছর ধরে তার টাকার জন্য পাওয়া কোন টাকা দিচ্ছে না। এমন কি পুঁজি’র টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তিনি এখন চরম অসহায়।

পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের অসহায় ফেরদাউস মোল্লা জানান, ব্যবসার জন্য তার এক লাখ টাকা জমা দেয়া। তিনি কোন ব্যবসার টাকা পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, পৌর শহরের পুরাতন সিও অফিস সংলগ্ন অবস্থিত কার্যালয় ‘এহসান গ্রুপ’এর উদ্যোগে অধিক মুনফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২ হাজার মাঠকর্মী (এফও) নিয়োগ দেন। ওই সব মাঠকর্মীদের মাধ্যমে জেলা ও জেলা পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পটুয়াখীর প্রায় লক্ষাধীক গ্রহকের কাছ থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।প্রথম দিকে কিছু গ্রাহককে মুনফা দিলেও গত দু’বছর ধরে তাদের মুনফা প্রদান বন্ধ করে দেন।

গ্রাহকদের টাকা উদ্ধার কমিটির আহবায়ক মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ওই এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা রাগিব হাসানের প্রতিষ্ঠিত ‘এহসান রিয়েল এস্টেট এন্ড বিল্ডার্স লিমিটেড ও নুরে মাদিনা’ নামে পৃথক ২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ১৬টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি গ্রাহকের ওই টাকা জমা নিয়ে তা আত্মসতের উদ্দেশ্যে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।তা ছাড়া তিনি গ্রাহকের টাকা নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। বিভিন্ন সময় ওই টাকা ফেরত দেয়ার তারিখ দিয়েও তিনি তা ফেরত দিচ্ছেন না। এমন কি প্রশাসনের সাথে প্রতারনা করে তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ তার নিকট আত্মীয় সহ ঘনিষ্ট জনের নামে লিখে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে জানতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধীক বার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমন কি তার কার্যালয়ের গেট বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ