১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঝালকাঠিতে প্রধান শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিবসহ কারাগারে ২ নেতা পিরোজপুরে আগুনে পুড়ে তিনটি বসত বাড়ি ছাই আমতলীতে দেড় যুগ ধরে পরিত্যক্ত খাদ্যগুদামে চলে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম উজিরপুরের সাংবাদিক আঃ রহিম সরদার এর মেয়ে মোহনার গোল্ডেন এ প্লাস অর্জন। বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লাবলু’র পথসভায় জনস্রোত বিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপিত গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধন গলাচিপায় দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে ১০ লক্ষ টাকার মাছ নিধন! নিস্ব শাহিন ফকিরের পরিবার

কঠোর লকডাউন-রোজাকে ঘিড়ে বরিশালে ক্রেতাদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানিরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের ওপর কঠোর লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। আবার বিধিনিষেধের শুরুতেই আসছে রমজান। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামীকাল বুধবার অথবা পরশু বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে রোজা। এ দুই কারণে বাড়তি কেনাকাটা করতে বরিশালের বিভিন্ন বাজারে ও দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

দোকানে ভিড় করে ক্রেতাদের মাংস, মাছ, ছোলা-খেজুরের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আলু, আদা ও বিভিন্ন মসলা বাড়তি পরিমাণে কিনতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজার আগে কিছু পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে গতকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেশি বেড়েছে। অনেকে আতঙ্কে বাড়তি পণ্য কিনছেন।

নতুন বাজারের ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ‘সরকার এবার কঠোর লকডাউন দিয়েছে। ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে রোজাও চলে আসছে। কাল অথবা পরশু রোজা শুরু। এ কারণে মানুষের কেনাকাটা বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে এবার গত বছরের মতো মানুষের মধ্যে ভয় নেই। কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দেয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। লকডাউনের মধ্যে মানুষ বাইরে বের হতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এ কারণেই হয়তো রোজার আগে অনেকে বাড়তি পণ্য কিনছেন।’

 

নগরীর পোর্ট রোড বাজারে গিয়েও ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বাজারটির ব্যবসায়ী সিপন বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকেই মানুষের কেনাকাটা বেড়েছে। রোজা শুরু হয়ে যাচ্ছে এ কারণে সবাই রোজায় বেশি লাগে এমন পণ্য কিনছেন। এর সঙ্গে আগামীকাল থেকে সরকার বিধিনিষেধ দিয়েছে, এটাও বাড়তি কেনাকাটার কারণ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের একটু দূরে দূরে দাঁড়াতে বললে তাতে কাজ হচ্ছে না। সবাই একসঙ্গে ভিড় করছে। আমাদের দোকানে বিক্রির জন্য পাঁচজন আছি। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে এই পাঁচজন হিমশিম খাচ্ছি। সকালে দোকান খোলার পর থেকেই এমন ভিড়। মনে হচ্ছে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে। এর আগে গত বছর সরকার লকডাউন দিলে ক্রেতাদের এমন ভিড় হয়েছিল। এরপর গত এক বছরে ক্রেতাদের এতো ভিড় আর হয়নি।’

বাজারে আসা সবুজ নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘৫ এপ্রিল থেকে সরকার যে লকডাউন দিয়েছিল তা নিয়ে অনেকেই হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যাংক পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার জানামতে এর আগে কখনো এভাবে ব্যাংক বন্ধ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সামনে কী হবে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।’

তিনি বলেন, ‘কখন কী হয় বলা মুশকিল। কিন্তু বাঁচতে হলে খাওয়ার দরকার আছে। আবার রোজা শুরু হচ্ছে। রোজার জন্য কিছু পণ্য বাড়তি কেনা লাগে। সব মিলিয়ে অনন্ত ১৫ দিন যাতে চলে তেমন কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছি।’

 

কাউনিয়া থেকে পণ্য কিনতে আসা সোহেল বলেন, ‘এবারের লকডাউন কঠোর হবে বলেই মনে হচ্ছে। শুনছি কেনাকাটার জন্য বাহিরে বের হতেও পুলিশের পাস লাগবে। এসব কারণেই কিছু বাড়তি কেনাকাটা করে রাখছি। তাছাড়া রোজা চলে এসেছে। এজন্যও কিছু কেনাকাটা করা প্রয়োজন।’

সর্বশেষ