৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে কবরস্থানের জমিতে প্রতিপক্ষের বাধা !

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলীতে পারিবারিক কবরস্থানের জমি দখল নিতে গেলে প্রতিপক্ষ কর্তৃক বাধা প্রদান ও জায়গা দখল করতে গেলে খুন জখমসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্ধা আসমান মৃধার মৃত্যুর পরে তার ওয়ারিশ আবুল কাশেম মৃধা এবং মহব্বত আলী মৃধাসহ ৮ পুত্র। এদের মধ্যে ৫ পুত্র বাড়ীতে বসবাস করলেও ৩ পুত্র অন্যাত্র বসবাস করেন। উভয় পরিবার তাদের সহায় সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। এদের মধ্য থেকে মৃত্যু আসমান মৃধার পুত্র কাশেম মৃধা এবং মহব্বত আলী মৃধার মৃত্যুতে তাদের ওয়ারিশগনের মধ্যে পৈর্তৃকসূত্রে পাওয়া জমিজমার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধে গত ২৯ মে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের দু’জন সার্ভেয়ার জমিজমা মেপে তাদের উভয়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে দেয়। কিন্তু ওই বন্টনকৃত জমির মধ্যে গত ১লা জুন উত্তর তক্তাবুনিয়া মৌজার ৬২ নং খতিয়ানে ও ১২২৬ নং দাগে মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার ওয়ারিশগন পারিবারিকভাবে কবরস্থান করার জন্য জমি দখল নিতে গেলে মৃত্যু কাশেম মৃধার ওয়ারিশ বাচ্চু মৃধা তাতে বাধা প্রদান করে দেয়। এ সময় তিনি জানান মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার কাছ থেকে ১৪ শতাংশ জমি তিনি দলিল মূলে ক্রয় করেছেন। এসময় মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার ওয়ারিশগন বাচ্চু মৃধাকে দলিল দেখাতে বললেও সে দলিল না দেখাতে তালবাহানা শুরু করেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানালে সেও বাচ্চু মৃধাকে দলিল দেখাতে বললে তিনি দলিল দেখাতে গড়িমসি করেন। এরপর গতকাল (শনিবার) সকালে পুনঃরায় মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার ওয়ারিশগন মন্নাফ মৃধা, ফোরকান মৃধা ও নান্নু মৃধা ওই জমিতে পারিবারিক কবরস্থান করার জন্য লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল ও মাটি কাটতে গেলে মৃত্যু কাশেম মৃধার ওয়ারিশ বাচ্চু মৃধা তার পুত্র মিরাজ মৃধা ও মিরন মৃধা এতে বাধা প্রদান করেন। বাধা উপেক্ষা করে মন্নাফ মৃধা, ফোরকান মৃধা ও নান্নু মৃধা ওই জমিতে থাকা কলাগাছ কেটে মাটি কাটার কাজ শুরুর চেষ্টা করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও খুন জখমসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বাচ্চুৃ মৃধা ও তার সাথে থাকা লোকজন। এ বিষয়ে মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার ওয়ারিশ ফোরকান মৃধা বলেন, পারিবারিকভাবে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধার উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের দু’জন সার্ভেয়ার জমিজমা মেপে আমাদের উভয়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে জমি বন্টন করে দেয়। বিরোধীয় ওই জমিটি আমাদের ভাগে পড়ায় সেখানে আমরা পারিবারিক করবস্থান নির্মাণ করার জন্য জমি দখল ও মাটি কাটতে গেলে বাচ্চু মৃধা এতে বাঁধা দেয়। তখন সে জানায় ওই জমি নাকি সে মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার কাছ থেকে ৪০ বছর পূর্বে দলিল মূলে ক্রয় করেছেন। তার কাছে দলিল দেখতে চাইলে সে দলিল দেখাতে তালবাহানা করে। তিনি আরো বলেন, ওই জমি দখল করতে গেলে তিনি আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও খুন জখমসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমরা এখন তাদের ভয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছিনা। মৃত্যু কাশেম মৃধার ওয়ারিশ বাচ্চু মৃধা তার প্রতিপক্ষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও খুন জখমসহ নানা ভয়ভীতি প্রর্দশনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে ওই জমি ভোগ দখলে আছি। ওই জমি আমি মৃত্যু মহব্বত আলী মৃধার কাছ থেকে দলিলমূলে ক্রয় করেছি। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেন, জমিজমা নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা থাকায় উভয় পক্ষের দু’জন সার্ভেয়ার দিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরেজমিনে জমি মেপে বন্টন করে দিয়েছি। ওই জমিটি বাচ্চু মৃধা তার নিজের দাবী করে আসলেও তার দলিল দেখাতে বললেও সে তা দেখাচ্ছে না।

সর্বশেষ