আমিনুল শাহীন:
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারি কমিশনার ( এসি ) মো. রাসেল আহমেদ এবার নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি করোনাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে মাঠপর্যায়ে তৎপর থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। বিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দিনরাত দৌড়ঝাপ করে তার তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। অধস্থনদের সাথে স্বশরীরে মাঠে থেকে মনোবল বৃদ্ধিতে তার সাহসী ভুমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। তার করোনা পজিটিভ আসার পর গতকাল মোবাইলফোনে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বরিশাল বাণীকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তবে তার তেমন কোন উপসর্গ নেই। সুস্থ্য হয়ে আবার তিনি ফিরবেন করোনা যুদ্ধে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশ মানুষের সেবায় তিনি নিজেকে উৎসর্গ করবেন।’
সোমবার (৮ জুন) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়াল সেল নিশ্চিত করেছেন। যার মধ্যে কোতয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারি কমিশনার ( এসি) মো. রাসেল সহ রয়েছে একজন পরিদর্শক (ডিবি), ১ জন এসআই, ১ জন নায়েক, ১১ জন সদস্য ও একজন বাবুর্চি (সিভিলিয়ান)। এর আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একই থানার ওসি তদন্ত এ.আর মুকুলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। আক্রান্তদের মধ্যে আরো রয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিম।
এ নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। দেশ জলপদের সাথে কথা হয়েছে সহকারি কমিশনার ( এসি ) মো. রাসেলের সাথে। এ সময়ে তিনি বলেন, আমি সুস্থ আছি, আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে মানুষের জন্য আবার কাজ করব।
এ বিষয়ে উপ পুলিশ কমিশনার সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনায় এই পর্যন্ত যারা শনাক্ত হয়েছে তাদের সংস্পর্শে এসেছে এমন সকলকে কোয়ারেন্টাইনে রাখছি। তিনি আরো বলেন, করোনা উপসর্গ পাওয়া মাত্রই টেষ্ট করাচ্ছি যাতে দ্রুত রোগী চিহ্নিত করে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে পারি। উল্লেখ্য, গত ১১ মে মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল কালাম আজাদের গাড়িচালকের শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।