১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা সংক্রমণ রোধে গলাচিপার ইউএনও’র নিরন্তর ছুটে চলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউনের মধ্যেও অনেক অকুতোভয় লড়াকু সৈনিকেরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাজ করে যেতে হচ্ছে। তারই ধারাবাহিতায় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, তিনি উপজেলা সদর এবং নদীবেষ্টিত ইউনিয়নের বিপদগামী মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ঝড় তুফান, রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিন রাত ছুটে গিয়ে সরকারী সহযোগীতা খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন উপজেলার বিভিন্ন দূর্গম গ্রাম-গঞ্জের জনসাধারণের কাছে। জানা যায়, দেশে চলমান করোনা ভাইরাসে যখন সারাদেশ আতঙ্কিত। নিজের নিরাপত্তার জন্য অনেকেই বাড়িতে থাকাটাই নিশ্চিত করছেন। তখন তিনি নিজের স্ত্রী সন্তানের প্রিয় ভালোবাসা দূরে ঠেলে দিয়ে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের কর্মস্থলের সরকারী সাধারণ ছুটি স্থগিত করে জনসাধারণের কথা ভেবে দিন রাত পরিশ্রম করে চষে বেড়াচ্ছেন গলাচিপা উপজেলার প্রতিটি শহর থেকে গ্রামকেন্দ্রিক এলাকা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন থেকে সামাজিক দূরত্ব কমানোর উদ্দেশ্যে জনসমাগম বন্ধের আহ্বান জানানোর পরেও কিছু অসচেতন মানুষের পদচারণায় লকডাউন অমান্য করে যানবাহন চলছে স্বাভাবিকভাবে। বেশিরভাগ বড় কাঁচাবাজারে এখনও মানুষের উপচে পড়া ভিড় বেরে যাওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মাইকিং করে বলা হচ্ছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিজ দায়িত্বে সরকারী আইন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিত্যদিনের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে জেলা ও উপজেলাভিত্তিক গ্রামগঞ্জে হাঁটবাজার গুলোতে ভিড় বেশি হওয়ায়, মাক্স ব্যবহার এবং অযথা রাস্তায় চলা ফেরায় প্রতিনিয়ত উপজেলায় অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন জনপ্রিয় এই নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. রফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন স্থানে সরজমিনে জানা যায়, চলামান করোনা দূর্যোগেই নয়, তার কাছে জনসাধারণ যে কোন বিষয়ে সুপরামর্শ বা সাহায্য নিতে গেলে তিনি তার সাধ্যমত সহযোগীতা করেছেন, অসহায় হতদরিদ্রের বিষয়টি খুব দ্রুততার সাথে সমাধান করে আসছেন বলে জানিয়েছে উপকারভূগী জনসাধারণ। তিনি সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাতকারে বলেন, আসলে আমি কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছি, তা হয়তো জনসাধারণই বলতে পারবেন, শত ভাগ পূরণ করতে না পারলেও আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদিও আমার উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ইতি মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এটাকে আমার সফলতা না ব্যর্থতা তা জনসাধারণই বলতে পারবে। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক নয়, জনসচেতনতাই হলো একমাত্র উপায়। এছাড়া এ কঠিন দূর্যোগের মধ্যে একমাত্র আল্লাহ্ ভরসা আর মানুষের চোখে এবং আমি মনে করি সেচ্ছাসেবক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ডাক্তার এবং পুলিশ প্রশাসনের ব্যক্তিরা হলো সুপার হিরো। এছাড়া রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মোকাবেলায় ধারাবাহিক নানা ধরনের সচেতনতামূলক কর্মকা- এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরনে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় এবং সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করার জন্য এসএম শাহাজাদা এমপি মহোদয় এবং গলাচিপা উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মু. শাহিন শাহ্ এবং সকল গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসের আক্রমণে প্রাণ দিয়েছেন অনেকেই, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সকলকে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম।

সর্বশেষ