১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশালে টিসিবি’র পণ্য কিনতে দীর্ঘ লাইনঃ স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আরিফ হোসেন, বিশেষ প্রতিবেদকঃ  সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে নগরীতে শত শত মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলের সামনে। ভিড় বেড়ে যাওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়েছে। ৩-৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। তারা ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যের পরিমাণও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তবে এমন ভীর করে পন্য ক্রয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তারা জানিয়েছেন, প্রয়োজনের কাছে জীবনের ঝুকি তুচ্ছ বিষয়। টিসিবির ডিলাররা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করে পণ্য বিতরণের চেষ্টা করছেন তারা। টিসিবি থেকে দেয়া পণ্য বিতরণ শেষ হয়ে গেলে তাদের কাছে অতিরিক্ত মানুষকে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। সূত্র মতে, গত ৫ জুলাই থেকে সারা দেশে নির্ধারিত দামে মশুর ডাল, চিনি এবং সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করে টিসিবি। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা, ৪০ উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টিসিবির ডিলার রয়েছে ২০২ জন। এরমধ্যে বরিশাল জেলা ও নগরীতে রয়েছে ১০০ জন ডিলার। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন গড়ে ২৪ জন ডিলারকে ৫০০ কেজি ডাল, ৪০০ কেজি চিনি ও ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে টিসিবি। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প সংখ্যক ডিলার হওয়ায় প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে গ্রাহকদের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষের। পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও ব্যাগ হাতে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন বয়স্ক ব্যক্তিরা। গতকাল বুধবার নগরীর আমতলা এলাকার ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, টিসিবি পণ্যবাহী ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইন। ব্যাগ হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শিশুরাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় লাইনের দৈর্ঘ্য। তবে সেখানে নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখা তো দুরের কথা কেউ স্বাস্থ্যবিধি পর্যন্ত মানেনি। ক্রেতা মজিদ হাওলাদার জানান, গাড়ি আসার আগে সকাল সাড়ে ৮টায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় টিসিবির পন্যবাহী ট্রাকে আসে। কিন্তু তারা ধীর গতিতে পণ্য দেয়। এ জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়। আর সাথে সাথে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়। টিসিবি ডিলার মো. জোবায়ের জানান, স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করছেন তারা। হ্যান্ড মাইকে কিছুক্ষণ পরপরই গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং মাস্ক পরার অনুরোধ করছেন। তিনি বলেন, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে টিসিবি পণ্য। পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে গেলে অতিরিক্ত মানুষের জন্য কিছুই করার থাকে না তাদের। টিসিবি গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে সকলকে খুশি করতে হবে। ডিলার পয়েন্টে গ্রাহকদের ভিড় কমাতে ডিলার সংখ্যা এবং পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।

সর্বশেষ