৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

করোনা আঁধারে আশার আলো ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

এ আল মামুন, বিনোদন প্রতিবেদকঃ এই মুহূর্তে দেশের বিনোদন জগতের সব চেয়ে আলোচিত নাম ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট। কারণ, দেশের বিনোদন শিল্পে যখন রীতিমত খরা চলছে এবং নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের অধিকাংশই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন, ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি দেশের অন্যতম সেরা নাট্য নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল তাঁর ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, ‘এই অনিশ্চিত সময়ে, অন্য সবার মতো, আমিও হোম কোয়ারান্টিনে থাকছি। গত দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ করে ছিলাম এবং ভবিষ্যতে এটি কয়েক দিনের জন্য এই রকমই থাকতে পারে। এটি একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি এবং আমার পরিবার ও দেশের নিরাপত্তা আমার অগ্রাধিকার। যাই হোক, জীবন চলতে হবে। বাড়িতে থাকতে এবং এ জাতীয় সময় মানিয়ে নিতে বন্ধু কিংবা সহযোগীর সহায়তা প্রয়োজন। এবং সেই বন্ধুটি আমার কাছে ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট ছিল। তাদের সমর্থন আমাকে লকডাউনের এই সময়জুড়ে সহায়তা করেছে এবং তার জন্য আমি সর্বদা কৃতজ্ঞ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার সাথে-সাথে, ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের সাথে কিছু কাজ করার পরিকল্পনা করেছি; শর্ট ফিল্ম, দীর্ঘ এবং মিনি সিরিয়াল। আমি বিশ্বাস করি যে কাজগুলো সফল হবে এবং ক্রাউনএন্টারটেনমেন্ট শীঘ্রই আমাদের এমন কিছু (কাজ) উপহার দেবে, যা আমাদের বিনোদন মিডিয়াগুলির জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’

এই জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা এমন এক সময়ে স্ট্যাটাসটা দিলেন, যখন বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। তাঁর এই স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করেই বোঝা গেলো, ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট করোনাজনিত এই লক ডাউনের সময়েও বসে নেই। তারা ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন নির্মাতার সাথে নতুন-নতুন কাজের চুক্তিও করছে।

এ প্রসঙ্গে ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এর ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের মিডিয়ায় চলমান মন্দা করোনা‘র কারণে এখন আরো অনেক বেশী ঘনিভুত হয়েছে এবং অনেক প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে ক্রাউন কোন বিবেচনায় বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নির্মাতাদের সাথে নতুন কাজের চুক্তি করছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘করোনা কিংবা লক ডাউন তো আর অনাদিকাল থাকবে না। কিন্তু আমাদের বিনোদন জগতের কাজ অব্যাহত থাকতেই হবে। দেশে এতোগুলো টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এবং ইউটিউব চ্যানেল। এগুলো চলতে হলে তো নতুন-নতুন কন্টেন্ট লাগবেই। এসব বিবেচনায় আমরা আগামী মাস থেকে সরকারী অনুমতি নিয়েই শুটিং শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা যেহেতু চাই দর্শকদের সেরা বিনোদন উপহার দিতে তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই সেরা এবং জনপ্রিয় নির্মাতাদের সাথেই ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট চুক্তি করছে নতুন-নতুন কাজের’।

তিনি বলেন, খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল, আজাদ কালাম, ফরিদুল হাসান, শামিম জামানসহ প্রায় দুই ডজন নির্মাতা ঈদের পর-পরই ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এর প্রযোজনায় একাধিক বহু পর্বের ধারাবাহিক, এক পর্বের নাটক, বিশেষ দৈর্ঘের চলচ্চিত্র, শর্ট ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্ম, টেলিফিল্ম ইত্যাদি নির্মাণ করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট এর লক্ষ্য হচ্ছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের বৃহত্তম কন্টেন্ট প্রোভাইডার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করা। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে আমাদের প্রযোজিত কন্টেন্ট টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর পাশাপাশি নেটফ্লিক্স, হইচই, জি-ফাইভসহ বিভিন্ন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও চলবে।’

ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট কি শিল্পী ও কলাকুশলীদের আস্থার প্রতিষ্ঠান হতে পারবে, এ প্রশ্নের জবাবে এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দেশে ষ্টার আর্টিস্টদের আর্থিক শঙ্কট নেই এটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনিভাবে যারা ক্যারেক্টার আর্টিস্ট এবং কলাকুশলী, ওনাদের জন্যে কিন্তু এখনও এই পেশার মাধ্যমেই জীবিকা নির্বাহ খুবই কষ্টকর। তাই আমরা চাইছি ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট যেনো তাঁদের রেগুলার ইনকামের বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা চাই, ক্রাউন হয়ে উঠুক বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের শিল্পী ও কলাকূশলীদের জন্যে এমন এক আস্থার জায়গা যেখান থেকে তাঁরা নিয়মিতভাবে ইনকাম করে সচ্ছলভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। ক্রাউন যেনো হয়ে ওঠে ওনাদের নিয়মিত কাজ পাওয়ার একটা প্ল্যাটফর্ম।’

সর্বশেষ