২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে অভয়াশ্রমের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধে ৮ জেলেকে জরিমানা বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে দুটি মৃত কচ্ছপ বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেন কবি বিজন বেপারী রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে : লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে এসএম জাকিরের মতবিনিময় সুধীজনদের সন্মানে  চরফ্যাশন রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ইফতার মাহফিল  হার্ডলাইনে পুলিশঃ এবার বরিশালে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য চলবেনা রোজা রেখে মুখের দুর্গন্ধ এড়াবেন যেভাবে বাসায় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া, সিদ্ধান্ত মেডিকেল বোর্ডের

করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ/নেগেটিভ মানে কী ?

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

করোনা টেস্ট রেজাল্টের মানে কি ?
ফেসবুকে অনেকেই তাদের করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছেন অথবা দুশ্চিন্তায় পরছেন।

আপনি যদি RT -PCR টেস্ট করিয়ে পজিটিভ হোন , এর অর্থ আপনার শরীরে এই ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আপনার যদি উপসর্গ থাকে তাহলে আপনি করোনায় আক্রান্ত। আর যদি উপসর্গ না থাকে কিন্তু পজিটিভ তাহলে আপনার শরীরে রোগ টি আছে, কিন্তু তা এখনো উপসর্গ তৈরী করার মত যথেষ্ট নয়, অথবা আপনি একজন উপসর্গহীন বাহক। যখন কোনো এলাকার সব মানুষের টেস্ট করা হয়েছিল ( আইসল্যান্ড তাদের জনগোষ্ঠীর প্রায় ১০ শতাংশ লোকের টেস্ট করিয়ে দেখেছে টেস্টে পজিটিভ হওয়া শতকরা ৫০ভাগ লোক উপসর্গহীন বাহক সেই এলাকায় অনেক মানুষ ছিলেন পজিটিভ কিন্তু উপসর্গবিহীন। (সংশোধনঃ সরাসরি আর্টিকেলটি দেখেছি একটু আগে, মনে হয় সংখ্যাগত ভুল আছে ( ৫০ হবে না ) . যে স্টাডি থেকে উল্লেখ কর হয়েছে, সেখানে টার্গেটেড গরূপে পজিটিভ ১৩.৩ % এবং কন্ট্রোল গ্রূপে ০.৮ বা ০.৬ % অর্থাৎ গড় ০.৭% ) ধন্যবাদ ভিক্টকে , প্রশ্ন করার জন্য। )

করোনা টেস্টে নিগেটিভ মানে কি ?
নিগেটিভ মানে আপনার শরীর থেকে যে স্যাম্পল নেয়া হয়েছে সেটা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের RNA পাওয়া যায়নি। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস নেই, অথবা যে স্যাম্পল নেয়া হয়েছে সেটি যথেষ্ট নয়, কিংবা যথোপযুক্ত ভাবে নেয়া হয়নি। শতকরা ৩০ ভাগ ক্ষেত্রে আপনার শরীরে করোনা ভাইরাস থাকলে ও পরীক্ষায় রেজাল্ট নিগেটিভ আসতে পারে।
নিগেটিভ রেজাল্ট আসলে করণীয় :
মনকে ৭০ ভাগ স্বস্তি দিন, ৩০ ভাগ অস্বস্তিতে রাখুন।
যদি কোনো উপসর্গ না থাকে ,তাহলে নজর রাখুন নতুন উপসর্গের দিকে।
যদি উপসর্গ থাকে তাহলে চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। সামান্য অবনতি হলেও সম্ভব হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। আপনার চিকিৎসক যেন আপনার করোনা হওয়া সম্পর্কে ভীষণ রকম খুঁতখুঁতে ,সন্দেহপ্রবন থাকেন। প্রয়োজনে চেস্টের সিটি স্ক্যান করিয়ে যেন দেখেন ফুসফুসে সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে কি না। এই গ্রূপটি সবচাইতে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হবে কেননা টেস্ট রেজাল্ট নিগেটিভ হওয়ার পরে অনেকেই দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে পরেন। সন্দেহের মাত্রা কমে যায়।

আপনি যদি এন্টিবডি টেস্ট করে থাকেন
পজিটিভ অর্থ আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং আপনার শরীরে এন্টিবডি তৈরী হয়েছে।
নিগেটিভ অর্থ আপনার শরীরে করোনা ভাইরাসের এন্টিবডি নেই। এর মানে দুই রকম; হয় আপনি আক্রান্ত হননি, কিংবা আপনি আক্রান্ত হওয়ার পরেও শরীর এন্টিবডি তৈরী করার যথেষ্ট সময় পায়নি। শরীরে এন্টিবডি তৈরী হতে ৩-১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি ২ দিনের মাথায় পরীক্ষা করে তার অবশ্যই নিগেটিভ আসবে, এমনকি ১৩ দিনের মাথায় টেস্ট করলেও নিগেটিভ আসতে পারে।

তাহলে সব চাইতে গুরুত্তপুর্ন কি?
আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উপসর্গ। কোনো উপসর্গ নাই মানে আপনি এখনো নিরাপদ ( তবে অন্যেরা আপনার কাছে নিরাপদ নয় যদি আপনি পজিটিভ হয়ে থাকেন )
টেস্ট নিগেটিভ কিন্তু উপসর্গ আছে , আপনি মোটেও নিরাপদ নন। চিকিৎসকের সাথে ঘন ঘন যোগাযোগ রাখুন।উপসর্গ সম্পূর্ণ দূর না হওয়া পর্যন্ত বিন্দুমাত্র ঢিলেমি নয় !
সুস্থ থাকুন , সচেতন থাকুন, সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন।

ডা.অসিত বর্দ্ধন, রা.মে.ক এর টাইমলাইন থেকে নেওয়া

সর্বশেষ