শহীদুল্লাহ সুমন :: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মনোবল শক্ত রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন করোনাজয়ী সাংবাদিক ‘বরিশাল ক্রাইম নিউজের প্রকাশক খন্দকার রাকিব। তিনি বরিশালের ‘দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪দিন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠে। এখন আরো কিছু দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরিকাঠি গ্রামের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নেয়া এবং সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতার কথা মুঠোফোনে জানান খন্দকার রাকিব।
তিনি বলেন, ১৮ জুন পর্যন্ত করোনা সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাসপাতালসহ বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি। ২০ জুন রাতে বাসায় যাওয়ার পর প্রথম জ্বর অনুভব হয়। রাতেই জ্বর অনেক বেশি ছিল। ২৭ মার্চ মাথাব্যথা বেড়ে যায়। এরপর নমুনা সংগ্রহের জন্য ফোন করি। তাদের পরামর্শে বাসায় অবস্থান করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। জ্বর ও কাশি বেড়ে গেলে ২৬ জুন নমুনা সংগ্রহের জন্য বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালে যাই। তারা নমুনা সংগ্রহ করেন।
খন্দকার রাকিব বলেন, নমুনা দেয়ার পর মহল্লার মানুষ ও আমেপাশের লোকজন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন। আমি কেন হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় বসেই মনোবল চাঙ্গা রেখে চিকিৎসা নেই। ৩০ জুন মুঠোফোনে জানানো হয় আমার করোনা পজিটিভ। পরীক্ষার ফল জানার পর আমি একটু ঘাবড়ে যাই। বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে চিকিৎসদের পরামর্শ নিয়ে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠি।
তিনি বলেন, বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কখনও কখনও দুশ্চিন্তা ভর করতো। এত কিছুর মাঝেও মনোবল হারাইনি। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি নিজ থেকে গরম পানি পান করতাম, গরম পানির ভাপ নিতাম। গার্গল করতাম। এমনকি হালকা ব্যায়ামও করেছি। এরপর চিকিৎসাসেবায় ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকি। এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছি।
খন্দকার রাকিব তার সকল সহকর্মী ও সুভাকাঙ্খিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, করোনার এই মহমারী থেকে বাঁচতে সকলে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন। নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান।
বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, খন্দকার রাকিবের মধ্যে তেমন কোন উপসর্গ ছিল না। তার রিপোর্ট পসেটিভ এসেছিল। তিনি সঠিক নিয়মে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা।