করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশের ৫০টি জেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রবিবার সব শেষ হিসেব অনুযায়ী বরিশাল জেলা এবং মহানগরীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬১৫ জন। এমন বাস্তবতায় দেশের ৫০ জেলার মধ্যে বরিশাল জেলাকেও লকডাউন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘করোনা.গভ.বিডি’ নামে একটি ওয়েবসাইটে শনিবার রাতে লকডাউন সংক্রান্ত এই তথ্য আপলোড করা হয়। অথচ যারা লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নেই লকডাউন সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা।
রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মন্ত্রনালয় থেকে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে লকডাউন সংক্রান্ত খবর তিনিও শুনেছেন। তবে অফিশিয়ালি কোন নির্দেশনা পাননি। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনা এড়াতে এর আগেও বরিশাল জেলা লকডাউন করা হয়েছিলো। পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার লকডাউনের নির্দেশনা পেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এর যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে ফেস মাস্ক পড়া, শারীরিক দূরত্ব অনুসরন করা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।