২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বরিশালে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চরকাউয়ায় যুবলীগ নেতা খান মামুনের গণসংযোগ বাংলাদেশে বর্তমানে ভারতের তাবেদার সরকার শাসন করছে : বরিশালে ভিপি নুর বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, ইমামের কক্ষে আগুন উজিরপুরে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার কাউখালীতে পাটি খাতে রূপালী ব্যাংকের ক্লাস্টার ভিত্তিক ঋণ বিতরণ বিআরডিবি'র কার্যক্রম পরিদর্শনে সচিববৃন্দ মনপুরায়, কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও উঠান বৈঠক বরিশালে ‘সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহর রক্ষা বাধ দখলের মহোৎসব উজিরপুরে মাদকসহ জেলা ডিবি'র খাচায় ১ মাদক কারবারী আটক রাজাপুরে নিখোজ ভ্যান চালকের লাশ ভাসছিলো নদীতে

কলাপাড়ায় অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নিতে জামাইকে হত্যা, শ্বশুরসহ গ্রেপ্তার ৩

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দীলিপ গাজী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিনভর বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহত আমিনুল ইসলাম গাজী ওরফে দীলিপ গাজীর শ্বশুর অনোয়ার হোসেন প্যাদ্যা (৫৫), তার ভাইয়ের জামাই নিজাম ওরফে মিজান (৪৫) ও মো. আমজেদ (৪৫)।

এদের মধ্যে আমজেদকে শনিবার দুপুর ১টায় বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ওইদিন রাত সোয়া ৯টায় বরগনিার আমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে নিজাম ওরফে মিজানকে এবং একইদিন রাত সাড়ে ৩টায় পটুয়াখালী শহরের ছোট চৌরাস্তা থেকে হত্যাকাোণ্ডের মুলহোতা আনোয়ার হোসেন প্যাদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার বেলা ১২টায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। দুপুরের দিকে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। ওই প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) শেখ বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ আলীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের নাওয়াপাড়া গ্রামের দৌলত হোসেন গাজীর ছেলে নিহত আমিনুল ইসলাম গাজী ওরফে দীলিপ গাজী একই উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্যাদার মেয়ে হাবিবা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দীলিপ গাজী দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। পরে দেশে এসে এলাকার ইউপি সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি। পৈত্রিক সূত্রে দীলিপ গাজী অনেক জমির মালিকানা পেয়েছেন। এছাড়া শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় আরও অনেক জমিও কিনেছেন।

বেশ কিছু দিন আগে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে দীলিপ গাজী ও তার শ্বশুর বড় অংকের টাকা পান। কিন্তু জামাইকে না জানিয়ে আনোয়ার প্যাদা নিজেই সব টাকা উঠিয়ে নেন। এ নিয়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে প্রচণ্ড মতবিরোধ ও পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গত কোরবানির ঈদের পর সন্তানদের নিয়ে দীলিপ গাজীর স্ত্রী হাবিবা বেগম বাবার বাড়িতে চলে যান। দীলিপ গাজীর ব্যাংক হিসাবের নমিনী তার বড় মেয়ের নামে হওয়ায় জামাইকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন শ্বশুর আনোয়ার প্যাদা। নাতনির নামে সম্পত্তি হলে তিনি তা কৌশলে হাতিয়ে নেবেন- এমন আশায় জামাইকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাইয়ের মেয়ে জামাই নিজাম ওরফে মিজান এবং আমজেদকে দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি হিসেবে ঠিক করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দুই জন গত ২১ অক্টোবর রাতে দীলিপ গাজীর বাড়িতে যান এবং সেভেনআপের বোতলের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

সর্বশেষ