২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কলাপাড়ায় ওজুখানা নির্মাণে রাজমিস্ত্রী ইউপি চেয়ারম্যান!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ কাজ করেছেন। দীর্ঘ এক মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়ক ও ওজুখানা নির্মাণে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাফেজ আবদুর রহিম। শুরু থেকে তিনি চেষ্টা করছেন ইউনিয়নবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ২৫ ফুটের সড়ক, টয়লেট ও ওজুখানা নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ পান মাত্র দেড় লাখ টাকা। বাজেট স্বল্প হওয়ায় তিনি নিজে শ্রমিক নিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাস নিজে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে তৈরি করেন এসব স্থাপনা।

এর আগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুকুর ভরাট ও একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার আগেও তিনি শ্রমিকদের নিয়ে এলাকার মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন।

চেয়ারম্যানকে সঙ্গে পেয়ে শ্রমিকরা উৎসাহ পেয়েছেন। চেয়ারম্যান শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক যথা সময়ে দেন বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে কাজ করা শ্রমিকরা। শ্রমিক আলী হোসেন বলেন, ‘সকালে সবার আগে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে এসে উপস্থিত হন এবং কাজ শুরু করে দেন। তার সঙ্গে কাজ করে আমরা গর্বিত। তিনি সন্ধ্যায় কাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে মজুরি দিয়ে দেন।’

ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলী বাজারের সত্তরোর্ধ্ব নেছার মিয়া বলেন, ‘চেয়ারম্যান এক মাস ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এ রকমের চেয়ারম্যান আমি জীবনে দেখিনি। তাকে সাধুবাদ জানাই। দেশের সব চেয়ারম্যান যদি জনগণের সেবায় এ রকমের কাজ করেন, তাহলে দেশটা আরও এগিয়ে যাবে।’

ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘সড়ক, টয়লেট এবং ওজুখানার জন্য মাত্র দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। এ টাকা দিয়ে মজবুতভাবে এসব স্থাপনা তৈরি করা সম্ভব না। আর আমি আগে মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেছি।

সেখানে শ্রমিকদের কাজে সহায়তা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি শ্রমিকদের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক, টয়লেট এবং ওজুখানা নির্মাণ করেছি।’ কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আপাতত দেখে মনে হচ্ছে চেয়ারম্যান হাফেজ আবদুর রহিম কাজটি খুব ভালো করছেন। তবে নতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দাপ্তরিক কাজে আরও মনযোগী হতে হবে।

সর্বশেষ