২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলাপাড়ায় জলাসয় গুলোর উপর সকুনি দৃষ্টি, জাল জার জলা তাঁর প্রধানমন্ত্রীর এ কথাটি এখন বিপদগামী মানুষের দাপটে নির্বাসনে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাধারণ কৃষক ও জেলেদের স্বপ্ন ম্লান করে দিয়েছে কতিপয় বিপদ গামী লোক। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অধিকাংশ জলাসয় গুলো লুটে পুটে খাওয়ার মিশনে নেমেছে একটি অসাধু চক্র। জলাসয় গুলোর উপর সকুনি দৃষ্টি দেয়ায়। জাল জার জলা তাঁর প্রধানমন্ত্রীর এ কথাটি এখন বিপদগামী মানুষের দাপটে নির্বাসনে। কলাপাড়া উপজেলার যে কয়টি ইউনিয়ন রয়েছে তার মধ্যে মিস্টি পানির বদ্ধখাল নীলগঞ্জ ইউনিয়নেই বেশি। এই মিস্টি পানির বদ্ধ খালগুলোর কারনে শাক – সবজি ও ধান ফসলের উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে গোটা উপজেলার চাষিদের মধ্য নীলগঞ্জের চাষিরা রীতিমত নানা ফসল উৎপাদনে এ ইউনিয়নের কৃষদের অনুসরন করছেন অন্য সব ইউনিয়নের কৃষক সমাজ। যেখানে পানির ওপর নির্ভর করেছে চাষাবাদ সেখানেই খালের পানি ও খাল নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তির পেশি শক্তি ও কথিত রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহনকারীরা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিশাল এলাকা জুড়ে যে জল মহাল রয়েছে তা থেকে কিঞ্চিত পরিমান জলাসয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কে ভুল তথ্য দিয়ে লিজ গ্রহন করেই পুরো জলাসয় গুলো মৎস্য চাষের নামে সাধারণ জেলে,কৃষকও খালের দুপাড়ে বসবাসকারী জন সাধারণ এখন সীমাহীন দূর্ভোগে রয়েছে। জাল জার জলা তাঁর প্রধানমন্ত্রীর এ কথাটি এখন আর ঐ সব বিপদগামী মানুষের দাপটে নির্বাসনে গেছে। সাধারণ মানুষের দাবী জলাসয় বন্দোবস্ত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে মিথ্যা,অসৎ ও দখল বানিজ্যের নামে নাম সর্বস্ব সমিতি ও ভুয়া জেলেদের নাম অন্তরভুক্ত করে জনগনের সাথে প্রতারণা করছে এই সংঙ্ঘ বদ্ধ কুচক্রিমহল। এদের কাছে প্রশাসন এতই অসহায় এ জিজ্ঞাসা নীলগঞ্জ বাসীর। নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া তার নির্বাচনি জনসভা গুলোতে খাল গুলো অবৈধ দখলে রাখার বিপক্ষে জনগনকে অবস্থান করে ভোট তার পক্ষে নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পার হলেও রহস্য জনক কারনে তিনি রয়েছেন চুপ। যে পরিমান জলাসয় ইজারা দেয়া হয়েছে। তা নির্ধারণ করে বাকি জলাসয় জন সাধারনের জন্য উন্মোক্ত করা হোক। উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য পাখিমারা খালের একাংশ পরিদর্শন করে যে পরিমান লিজ গ্রহন করেছেন ঐ পর্যন্ত সিমাবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন। তবে বাকি খাল গুলোর ব্যাপারে কোন ব্যাবস্থা তিনি নেননি। লিজ গ্রহীতাদের নানা খোরা যুক্তির কবলে পরে নিজেকে সামলিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে দফায় দফায় খালের স্বাভাবিক মাছ গুলো ধরে বিক্রি করে দিচ্ছে। শত শত জেলে পরিবার এ খালের উপর নির্ভর করে তাদের খাবার জোটে। অবৈধ ভাবে খাল জিম্মিকরে বিপদ গামী মানুষদের স্বার্থ রক্ষায় কেবলই অসায়ত্ব প্রকাশ করবেন নাকি জনগনের খাল জনগনের কাছে উন্মোক্ত করবেন কর্তৃপক্ষ। দিন যতই যাচ্ছে ততই জনগনের খালের মিস্টি পানির সাথে লবন পানি ঢুকিয়ে আসন্ন ইরি বোরো মৌসুমে চাষাবাদে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারনে কৃষক ও প্রন্তিক জেলেদের মধ্যে ক্ষোপ বাড়ছে। যে কোন সময় এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা এখন মূখ্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
এনিয়ে জেল প্রশাসক মো.শরিফুল ইসলাম জানান, অনিয়মের বিরুদ্ধে তাঁর বরাবরে আবেদন করতে বলেন।
স্থানীয় সাংসদ মহিব্বুর রহমান মহিব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জনসাধারনের কৃষি কাজ সহ প্রান্তিক জেলেদের স্বার্থরক্ষায় লিজ বাতিল করে দেয়া হোক। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালীকে অবগত করবো।
এ বিষয়ে যানতে চাইলে পরিচালক,স্থানীয় সরকার আহসান হাবিব বলেন, জনগনের খাল জনগনের সুবিধার্থে উন্মোক্ত করে দেয়া হোক। খাল জিম্মি করে অবৈধ ভাবে ভোগ দখল জনগনের সাথে প্রতারনার সামিল। আমি জেলা প্রশাসক পটুয়াখালির সাথে আলাপ করবো।

সর্বশেষ