১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কলাপাড়ায় সাংগ্রাই উৎসবে মাতোয়ারা রাখাইন তরুণ-তরুণীরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আদিবাসি রাখাইন সম্প্রদায়দের তরুণ-তরুণীরা মাতছে পানি খেলায়। একে-অপরের গায় পানি ছিটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তারা। একই সঙ্গে চলে নাঁচ-গান ও অতিথীয়তা। আর উৎসবে নিজস্ব সংঙ্গিত নতুন পােশাকে যুবক-যুবতিরা। বর্ষবরণ বা সাংগ্রাই উপলক্ষে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলীর রাখাইন পল্লীতে বে-সরকারি উনয়ন সংস্থা কারিতাস আইসিডিপি রাখাইন প্রকল্পের উদ্যােগে রাখাইন যুব ফােরাম এ উৎসবের আয়ােজন করেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জলকলি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা উদ্বােধন করেন কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস ব্যাপারী। এসময় কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার ভিক্ষু ইদ্রবংশ, কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আঃ রাজ্জাক খান, কলাপাড়া রিপাের্টার্স ক্লাবের সভাপতি এসকে রঞ্জন, সাংবাদিক উত্তম কুমার হাওলাদার,মাে.হাবিবুল্লাহ খান রাব্বি, রাখাইন সমাজপতি বাবু তেননােন রাখাইনসহ রাখাইন সম্প্রদায়ের লােকজন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, কারিতাস আইসিপি প্রকল্পের সমাজ উনয়ন কর্মকর্তা বাবু মংম্যা।
স্থানীয় রাখাইনদের সূত্রে জানা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের লােকজন তাদের ঐতিহ্যবাহী পােশাক পরে সাংগ্রাই উৎসবে যােগ দেয়। করােনার কারণে দীর্ঘ দুই বছর উৎসব করতে পারেনি তারা। তবে এবছর উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পেরে রাখাইন পরিবারগুলাের মাঝে বিরাজ করছে উৎসব মূখর পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া রাখাইন কিশাের টংনে বলেন, সব দুঃখ দুর্দশা ভুলে নতুন করে পথ চলার জন্যই এ উৎসবে মিলিত হয়েছি। একই কথা বললেন চাচা রাখাইন,খংনেচানসহ আরও অনেক।
রাখাইন গৃহবধূ মায়া বলেন, সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে পুরা মাস জুড়ে প্রতিটি রাখাইন পল্লীর ঘরে রান্না নিরামিষ ভাজার আয়ােজন করা হয়। এছাড়াও তৈরি হয় হরেক রকমের বিন্নি চাল পিঠাপুলি। নিনিস রাখাইন জানিয়েছেন, পাঁপ মােচনের ব্রত হয় উৎসবের এই দিনে সকাল থেক দুপুর পর্যন্ত বৌদ্ধ বিহারে পরিস্কার পােশাকে প্রার্থণা করা হয়ছে।
কারিতাস আইসিপি প্রকল্পের সমাজ উনয়ন কর্মকর্তা বাবু মংম্যা বলেন, রাখাইনের ইতিহাস ঐতিহ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌছে দেবার জন্য কারিতাস প্রতি বছরের মতাে এবছরও এ উৎসবের আয়ােজন করেছে।
কারিতাস’র আঞ্চলিক পরিচালক মি. ফ্রান্সিস ব্যাপারী বলেন, এক সময় রাখাইন শিশুরা তাদের ভাষায় কথা বলতে পারলেও লিখতে পারতে না। শিশুদের মাতৃভাষা শিখানোর জন্য ভাষা কদ্র চালু হওয়ায় এখন তারা লিখতে ও পড়তে পারে। কারিতাস রাখাইনদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এ অঞ্চলে কাজ করা হচ্ছে ।

সর্বশেষ