৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কাউখালীতে অভিভাবকহীন নৌ-আবহাওয়া অফিস, নেই কার্যক্রম

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সৈয়দ বশির আহম্মেদ, পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীতে নির্মাণের প্রায় এক দশক অতিবাহিত হলেও উপজেলা লঞ্চঘাটে অবস্থিত একমাত্র নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রটি অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু জনবল নিয়োগ দিলেও তারা নিয়মিত অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের নেই কোন কার্যক্রম। আর প্রাথমিক যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে তাও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাদের যে কাঙ্ক্ষিত সেবা দৈনিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়ের (বিশেষ বিজ্ঞপ্তি), ভারী বর্ষণের সতর্কতা, দীর্ঘ মেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাস কোন সেবাই মিলছে না এই অফিস থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে আবহাওয়া অফিস থাকলেও সেখান থেকে তারা কোন সেবা পান না।

মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে পিরোজপুর-গাবখান চ্যানেল হয়ে ঢাকা যেতে যে রুটটি ব্যবহৃত হয় সে পথে কাউখালী একটি উল্লেখযোগ্য স্পট। কেননা কাউখালীর এ জায়গাটি থেকে দুটি নদী দুটি রুট সৃষ্টি করেছে। একটি স্বরুপকাঠীর সন্ধ্যা নদী হয়ে ঢাকা, অন্যটি গাবখান চ্যানেল দিয়ে বরিশাল হয়ে ঢাকা। ফলে এ নৌরুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট হয়ে দাড়িয়েছে কাউখালী নৌবন্দর। আর একে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এখানে তৈরী হয়েছে এ অঞ্চলের একমাত্র ১ম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, নৌ আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। নির্মান কাজে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হলেও অফিসের যন্ত্রপাতির হিসেব এখনো অজানাই রয়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা বলেছেন অফিসের লোকবল এবং কর্মকান্ড সবই অদৃশ্যমান।

কাউখালী উপজেলার কুমিয়ান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, আমরা সবসময়ই এই আবহাওয়া অফিসের সামনে থেকে চলাফেরা করি । বছরের পর বছর ধরে এই অফিসের গেটে তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই । কখনোই এই অফিসের তালা খোলা হয় না । তবে অফিসের পিছনের গেট থেকে মাসের ভিতরে দুই একবার অফিসের কর্মচারীরা আসে হাজিরা যাওয়ার জন্য।
কাউখালী উপজেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, এই রুট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নৌযান চলাচল করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট বিধায় এখানে এই আবহাওয়া অফিস টি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিয়মিত না আসায় এ অফিস থেকে কোন সুফল পায় না স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে,২০১২ সালে মূল ভবন নির্মান কাজ শেষ হয়, হস্তান্তর হয় ২০১৬ সালে। আর জনবল নিয়োগ দেয়া হয় ২০১৮ সালে। নির্মানের ৫ বছর পর আনসার নিয়োগ দেয়া হলেও ৬ বছরের মধ্যে কোন জনবল ওঠেনি সেখানে। অফিসের লোকদের সেখানে দেখা মেলে কালেভদ্রে। তারা মাসের মধ্যে দুই একদিন হাজিরা দিয়ে পুরো মাসের বেতন তূলে আবার চলে যান। বহুদিন তাদের সাথে দেখা করতে গেলেও তাদের সাথে দেখা মেলেনি।

এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, আবহাওয়া অফিসের ব্যাপারে কোন অনিয়ম থাকলে তিনি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন ।
উল্লেখ্য গণপূর্ত বিভাগ ২০০৮ সালে ৯০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এর নির্মান কাজ শুরু করে। আর ২০১২ সালে এর নির্মান কাজ শেষ হয়।

সর্বশেষ