২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাউখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকে মারধর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী মীর(৭৮) ও সাংবাদিক জিয়া ও শহিদুলকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী মীর বাদী হয়ে ৫/৬ জনকে আসামি করে কাউখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি গত বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে চিরাপাড়া টেম্পু ষ্টান্ডে ঘটে।
স্হানীয় ও অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, গত বুধবার সকালে চিরাপাড়া টেম্পু ষ্টান্ডে গাড়ির সাইট দেয়া নিয়ে দুই অটোরিক্সার চালক রাস্তায় বসে কথা-কাটাকাটি করছিল । এসময় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা সাংবাদিক ও কাউখালী প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াদুল হক বিষয়টি তার মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। তখন পাশে দাড়িয়ে থাকা রফিক সাংবাদিক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় পাশের একটি দোকানে বসে থাকা সাংবাদিক জিয়ার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী মীর এসে কেন তাকে গালিগালাজ করছে তা জিজ্ঞেস করলে রফিক তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী এর প্রতিবাদ করলে মোঃ রফিকসহ ৫/৬ মিলে তাকে লাঠি ও রড দিয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। তখন সাংবাদিক জিয়া ও তার ভাই মহিদুল ইসলাম পিতাকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারী তাদেরকেও মারধর করে।হামলাকারীরা এবিষয়ে কোন জায়গায় তাদের বিরুদ্বে অভিযোগ করলে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্হানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী মীরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং আহত সাংবাদিক জিয়া ও মহিদুলকে প্রথমিক চিকিৎসা দেন। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী মীর
রফিক (৩০), তার ভাই রবিউল হোসেন(২৬),তাদের পিতা সোহরাব হোসেন(৫৫), সোহাগ হোসেন(২২) সহ ৫/৬ জনকে আসামি করে কাউখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ।

এবিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত রফিক মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে।
এ ব্যপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বনি আমিন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী তাকে মারধরের অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সর্বশেষ