শামীম আহমেদ ::: সদ্য বহিস্কৃত বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর শরীফ আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আরিফুর রহমান।
আজ বুধবার (৭ জুন) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশী অভিযোগ দেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.গোলাম ফারুক নালিশী অভিযোগ তদন্ত করে কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পিপি ইসতিয়াক হোসেন রুবেল।
অভিযোগের বিবাদী হলো- বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদ্য বহিস্কৃত সদস্য শরীফ আনিসুর রহমান। সে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী। মঙ্গলবার রাত ১১ টায় এ অভিযোগ কোতয়ালী মডেল থানায় দিয়েছিলেন বলে জানান ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য কেএম শরীয়তুল্লাহ। থানায় এ অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে দেয়ার অনুরোধ করেন। তাই সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।
এর আগেও ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই অভিযোগের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাফিন মাহমুদ তারেকের বিরুদ্ধে গত ৪ জুন সংবাদ সম্মেলন করে শরীফ আনিছুর রহমান।
সেখানে সাংবাদিকদের বলেন- বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হাত পাখাকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে। তার এ বক্তব্যে ভাইরাল হয়।
ওই দিন রাতেই বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয় শরীফ আনিছুর রহমান।
নালিশী অভিযোগের বরাতে বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের হাত পাখার প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীমের সমর্থন দেখে বিবাদী তার অজ্ঞাত নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে হাতপাখার প্রার্থী প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন। প্রার্থীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এ বক্তব্যের কারনে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তার মিথ্যা বক্তব্যে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়- ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক আর্দশে অন্যায় আঘাত করার কারনে সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দপূর্ন ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিশৃংখলা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ঘোলাটে করে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করে দেশের ব্যবসা-বানিজ্য আর্থ সামাজিক অবস্থা নষ্ট করার পায়তারা করছে। অভিযুক্ত তার বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের অনুভুতি ও মুল্যবোধের উপর আঘাত করে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অপরাধ করেছে।