৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঋণের চাপে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দোকানির আ*ত্ম*হ*ত্যা জনপ্রতিনিধিরা খবর নেয়নাঃ রাস্তা মেরামত করলো এলাকাবাসী ব্যয় কমাতে সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ ও যানবাহন কেনা বন্ধ মহররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত--- হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না: মাহমুদুর রহমান মান্না বরিশালে ২ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক চাচাতো বোনকে ধ*র্ষ*ণের পর হ*ত্যার অভিযোগে বাকেরগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা আমতলীতে দেনার ভয়ে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়ে গলায় ফা*স লাগিয়ে আত্মহ*ত্যা দখলমুক্ত হলো তাপবিদুৎ কেন্দ্র'র জমি ববিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, সংবাদকর্মীসহ আহত ৩

কার হাতে উঠছে বরিশাল মহানগর বিএনপির দায়িত্ব

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় যে চমক এসেছিল, কমিটি ভেঙ্গে দেয়াতেও ছিল সেই চমক। এখন সবাই তাকিয়ে আছে কেন্দ্রের দিকে। কার হাতে উঠছে মহানগর বিএনপির নতুন দায়িত্ব। এক্ষেত্রে গুঞ্জন উঠেছে ত্যাগী নেতা হিসাবে পরিচিত এবায়দুল হক চানকে সভাপতি করা হতে পারে। সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার কিংবা সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবিরকে। তবে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলেও আশ্চর্যের কিছু হবে না।

বরিশাল বিএনপিতে ৫ বছর আগেও একছত্র আধিপত্য ছিল মজিবর রহমান সরোয়ারের। তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন, ছিলেন জেলা বিএনপিরও সাবেক সভাপতি। শ্রমিক দলের নেতৃত্বও ছিল তার হাতে। তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে সে সময়। একপর্যায়ে বিএনপি গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ‘এক নেতা এক পদ’ চালু করলেও সরোয়ার পদ ছাড়তে চাননি শেষে তাকে যুগ্ম মহাসচিবের পদ দিয়ে ভেঙে দেয়া হয় মহানগর বিএনপির কমিটি। ২০২১ সালে কমিটি গঠনের সময় আনা হয় চমক। সাবেক সভাপতি সম্পাদককে বাদ দিয়ে মনিরুজ্জামান ফারুককে আহ্বায়ক ও মীর জাহিদুল কবিরকে সদস্য সচিব করা হয়। গুঞ্জন ছিল এরা সরোয়ারের ঘোর বিরোধী। কার্যক্ষেত্রে তার প্রমাণ মেলে। দায়িত্ব গ্রহণের পরই এরা ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেন যেখান থেকে সরোয়ারপন্থি সব নেতাকর্মীদের বাদ বা কোণঠাসা করা হয়। সরকার বিরোধী আন্দোলনেও এর ছাপ পড়ে। যদিও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সফর এবং সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচি এরা সফলভাবেই পালন করতে সমর্থ হয়।

আন্দোলনের সময় বরিশাল বিএনপি’র অভিভাবক হিসেবে পরিচিত মজিবর রহমান সরোয়ার, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সাবেক এমপি আবুল হোসেন, মহানগরের সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক কারাগারে ছিলেন। মহানগরের সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির একাধিক মামলার কারণে আত্মগোপনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এদের সকলের আশা ছিল কেন্দ্র তাদের মুল্যায়ন করবে। বিশেষ করে সরোয়ারপন্থিরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন তাদের নেতাকে আবার মহানগরের দায়িত্ব দেয়ার বিষয় নিয়ে।
তবে মজিবর রহমান সরোয়ারকে যুগ্ম মহাসচিব থেকে উপদেষ্টার পদে আসীন করায় সমর্থকরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।

এখন জোর আলোচনা চলছে- কে হচ্ছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি/ সম্পাদক।
একাধিক নেতা জানান, এবার এবায়েদুল হক চান পেতে পারেন মহানগর বিএনপির দায়িত্ব। মহানগরের সাবেক সম্পাদক এবায়েদুল হক বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উপরের কোনো পদে নেই। দলে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলা থেকে উপজেলায় ছুটেছেন কর্মীদের সংগঠিত করার জন্য। সেক্ষেত্রে সাবেক সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার আবার আসীন হতে পারেন একই পদে। আবার কেউ কেউ বলছেন, তরুণ নেতা মীর জাহিদুল কবিরই ফিরে পাবেন সদস্য সচিবের পদ। তবে বিএনপি’র বরিশাল জেলার শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার দাবি জিয়াউদ্দিন সিকদারকে সভাপতি এবং মীর জাহিদুল কবিরকে সম্পাদক করার সম্ভাবনা বেশি। এখন পর্যন্ত মহানগর বিএনপি’র নতুন কমিটিতে এই তিনজনের নামই ঘুরে ফিরে আসছে। গঠনতন্ত্রের কারণেই সরোয়ার আর মহানগরে ফিরতে পারছেন না বলে মনে করেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন। তিনি বলেন, যেহেতু গঠনতন্ত্রের এই ধারা এখনোও বহাল আছে সেক্ষেত্রে তিনি এখন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা তাই মহানগরের দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ নেই তবে চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে কাউকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিতে পারেন।

সরোয়ারের একনিষ্ঠ সমর্থক মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, সরোয়ারকে দায়িত্ব দিলে তিনি সবার সঙ্গে সমন্বয় করে সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান করতে পারবেন।
মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, দল যদি দায়িত্ব দেয় সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত মেনে বরিশালে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। দল দায়িত্ব দিলে একাধিক পদ কোনো বিষয় নয় বলেও তার অভিমত।
মীর জাহিদুল কবির বলেন, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই পর্যন্ত এসেছি। টানা চারবারের কাউন্সিলর ছিলাম। দলের সিদ্ধান্ত মেনে এবার নির্বাচন থেকে বিরত থেকেছি। সব সময় দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত ছিলাম এখনো আছি। ভবিষ্যতে যাদের দায়িত্ব দিবে তাদের নিয়েই কাজ করবো।
একই কথা বলেন সাবেক কাউন্সিলর ও বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। তিনি বলেন, দলকে ভালোবাসি দলের একজন কমী হিসাবে আমরণ থাকতে চাই। মনে করলে কাউকে বাড়তি দায়িত্ব দিতে পারেন। এক কথায় সবাই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। প্রশ্ন হলো দায়িত্বটা পাচ্ছেন কে?

সর্বশেষ