কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ১১ মামলার আসামি মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার হয়েছে। সে নগরীর চর্থা এলাকার তোফাজ্জল হোসেন ইদু মিয়ার ছেলে। নগরীর চর্থা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন কিছু দিন ধরে নগরীর উত্তর চর্থার নবাব বাড়ি চৌমুহনী এলাকার ছাব্বির আহম্মদ শুভ নামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ২ মার্চ রাতে তার লোকজন নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী নুসরাত ফারহানার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন্ওয়ারুল আজিম বলেন, আসামি মহিউদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতে চর্থা এলাকা থেকে আটক করি। বুধবার সকালে তাকে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করি।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক জানান, আটক মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। নগরীতে ছিনতাইকারী ও একটি চোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পুলিশের তালিকায় মহিউদ্দিনের নাম ছিল। পরে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিকালে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০১০ সালে কলেজ শিক্ষকের টাকা ছিনতাইসহ নগরীতে কয়েকটি আলোচিত ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে তার নাম ওঠে আসে। সর্বশেষ চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। মহিউদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।