কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটা কেরানীপাড়ার রাখাইন মার্কেট চত্বরে রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম নববর্ষ উৎসব ৩ দিনের সাংগ্রাইন উৎসব শুরু হয়েছে জলকেলি।
কেরানীপাড়া সাংগ্রাইন উৎসব কমিটি কতৃক আয়োজিত ৩ দিনের অনুষ্ঠানে জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে বাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো, বিহারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রার্থনা করা, নতুন পোষাক পড়ে প্রতিবেশীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ সাংগ্রাইন উৎসবটি।রাখাইনদের তথ্য মতে, রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষের উৎসবের নাম। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইনরা বিভিন্ন আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ করে নেয়। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা।বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল বিকাল ৪ টার সময় উচান চিন মাতুব্বরের সভাপতিত্বে কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এ উৎসবটি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব তালুকদার, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়াকাটা পৌরসভার সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আঃ বারেক মোল্লা, কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারীসহ প্রমূখ।আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়রা মেতে উঠে ঐতিহ্যের জলকেলিতে। অনুষ্ঠানে দেখা যায় নৌকায় রাখা পানি থেকে রাখাইন তরুণ তরুণীসহ সবাই মিলে একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এসময় রাখাইনদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ আর গানে মাতিয়ে রাখে পুরো অনুষ্ঠানটি। উৎসবটি দেখতে ভীড় জমিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। সাংগ্রাইন উৎসবটি আগামী ২০এপ্রিল শেষ হবে।কেরানীপাড়ার তরুন রাখাইন ওয়োনাইচে বলেন, পূরানো দুংখকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। একটি বছর অপেক্ষা করি এমন দিনের জন্য। আমরা অনেক আনন্দ করছি।মাচান বলেন, নববর্ষের শুরুতে আমরা নানান রকমের খাবার তৈরি করেছি। পূরানো দুঃখ কষ্টকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জাল কেলিতে অংশ নিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক ইন্দ্র বংশ ভান্তে বলেন, উৎসবকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাখাইন পাড়ায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতি মধ্যে বিভিন্ন পাড়া থেকে যোগ দিয়েছে রাখাইনরা। পূরানো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধূয়ে মূছে নতুন বছরে ভালো ভাবে শুরু করব।