২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুয়াকাটার ইউপি নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন কে ?

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির,কুয়াকাটা প্রতিনিধি (পটুয়াাখালী): পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৫জুন কে পড়বেন বিজয়ের মালা সেদিকেই তাকিয়ে আছেন দক্ষিণাঞ্চলের শেষ প্রান্তের সাধারণ মানুষরা।
ক্ষমতাসীন নৌকার মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়াারম্যান, আনছার উদ্দিন মোল্লা তার প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে আগামী বিজয়ে মালা আবারো পড়বেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অপরদিকে দীর্ঘ ৩৮বছর পূর্বের বাবার স্মৃতি কে আঁকডে ধরতে এগিয়ে চলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে শফিকুল আলম (শফি), এবং বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে, মোসলেম মুসুল্লি (মুসা), ইসলামের আলো ছড়াতে এবং উন্নয়নের শপথে বিজয়ের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নতুন নেতৃত্বে এই নির্বাচনে বিজয়ের মালা বরণ করতে ভোটারদের ধারণা; সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশে ভোট গ্রহণ হলে পাল্টে যেতে পারে ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের গতিধারা। নতুন নেতৃত্বে নতুন মুখ বিজয়ী হবেন এমনটাই প্রত্যাশা তরুণ ভোটাদের।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সকল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে শেষাবধি গ্রামে গ্রামে দিনভর নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা মনে করেন, অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সাধারণ ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ের মালা পড়াবেন বলে এমনটাই ধারণা।
তবে সতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শফিকুল আলম (শফি) সহ হাত পাখা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী মোসলেম মুসুল্লি (মুসা) অভিযোগ করেন যে, নির্বাচনী প্রচারণায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের বিভিন্নভাবে বাধাবিঘœ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন বানচাল করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, সতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ভোটার সমার্থক না থাকলেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে এমনটাই দাবি করেছেন আনসার উদ্দিন মোল্লা।
ভোটারদের দাবি তারা যেন সুষ্ঠু পরিবেশে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন। সাধারণ ভোটারা আরো বলেন, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকায় সাধারণ মানুষ বেছে নিতে পারবেন তাদের সঠিক প্রার্থীকে। তাহলেই তারা ফিরে পাবেন গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব এমনটাই আশাবাদী।। এ বিষয় কুয়াকাটা মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মাঠে আছি নিরপেক্ষ নির্বাচন উঠাতে শেষ পর্যন্ত আছি আমরা। জনগণ সুষ্ট ভাবে ভোট দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তা আমরা কঠোর ভাবে পালন করবো।

সর্বশেষ