২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
নিশানবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ: ফিলি*স্তিনে গ*ণহ*ত্যা বন্ধের দাবী দেশের বীমা খাতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ মে সারাদিন লালমোহন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিন আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম সৌদিতে ২৮৭৬০ বাংলাদেশি হজযাত্রী পৌঁছেছেন, দুইজনের মৃত্যু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সোমবার থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ

কুয়াকাটায় ইয়াস’র প্রভাবে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাগরগর্ভে, তলিয়ে গেছে কাচা ঘরবাড়ি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হোসাইন আমির,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: কুয়াকাটায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এখন উত্তাল রয়েছে। বেড়েছে ঝড়ও হাওয়া ও হালকা বৃষ্টি। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে কুয়াকাটা সৈকতের দোকানপাট, শুটকি মার্কেট, ট্যুরিজম কাউন্টার,ফ্রাইর দোকান,শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমুদ্রের গর্ভে বিলিন হয়েছে। এবং পাবলিক টয়লেটসহ বেরীবাধের বাহিরে থাকা আধাপাকা কাচা কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেরীবাধেঁর বাইরে সৈকত লাগোয়া ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। উপড়ে গেছে সংরক্ষিত বনের গাছপালা। বাতাসের গতিবেগ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। হচ্ছে থেমে থেমে হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত। পুর্ণিমার জো, চন্দ্র গ্রহন ও ঘুর্ণিঝড় ইয়াস মিলে মিশে একার হয়ে গেছে। এছাড়াও নিজমিপুর,সুধীরপুর,লালুয়ায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। তবে বেরীবাধেঁর ভিতরে তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আজ সকাল ৬ টা পর্যন্ত ১২.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটি আজ সকাল ৬ টায় পায়রা বন্দর থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিল। তাই পায়রা বন্দরে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপক‚লীয় এলাকায় গতকাল সকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত তিন দফা জোয়ারের পানিতে ভাঙা বেড়িবাধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার অন্তত ৩২ টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। পানিবন্দি এসব এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত অনেকের চুলোয় জলেনি উনুন। ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভারের মধ্যেই দুপুরে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার ১৫শ লোকে মাঝে সৈকত লাগোয়া দোকান পাটে ও ঘরবাড়িতে শুকনা খাবার পৌছে দিচ্ছে।
মেয়র বলেন ঘূর্নিঝড় সংকেত হওয়ার পরপরই আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। তবে আমাদেও এলাকায় যেমনটা মনে করছিলাম তেমনটা হয়নি তবে বেবীবাধের বাহিরে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং বসতি ঘরবাড়ী তলিয়ে গেছে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সরকারী সহয়তা আসলে তাদের জন্য ব্যবস্থা করব।

সর্বশেষ