১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

কুয়াকাটায় খাবারের মান ও হোটেল ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের অসন্তোষ ( ভিডিও)

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক—

বড়দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দিনটিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার ভ্রমণপিপাসু মানুষ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসেন। দিনভর নানা আয়োজনে মেতেছিলেন তারা। তবে খাবারের মান এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা। তাদের দাবি, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।

কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের মধ্যে কেউ ঘুরেছেন লেম্বুর চর, গঙ্গামতি চর, ফাতরার বন, কাঁকড়ার চর ও রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেটসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্পটগুলো। কেউ কেউ উপভোগ করছেন সাগরের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। কেউ আবার সেলফি তুলে, সমুদ্রে সাঁতার কেটে, ঘোড়ায় চড়ে স্মরণীয় করে রেখেছেন মুহূর্তগুলো। সবমিলিয়ে পর্যটকদের পদচারণায় ১৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতটি মুখরিত হয়ে ওঠে।
শুক্র ও শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রোববারের বড়দিনের ছুটি। টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রেমিরা ছুটে আসেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসতে শুরু করেন।

এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকদের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলের ভাড়া এবং খাবারের মান। খাবারের অতিরিক্ত দাম ও হোটেলে গলাকাটা ভাড়া নেওয়ায় অভিযোগ করে পর্যটকরা বলছেন, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।

ঢাকা থেকে আগত লায়লা ইয়াসমিন বলেন, কুয়াকাটা অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায়। আমি এর আগেও একবার এখানে এসেছিলাম। তখন ব্যয় অনেক কম ছিল। কিন্তু এবার এসে দেখি সবকিছু বদলে গেছে।

তিনি বলেন, এর আগেরবার যে হোটেল ভাড়া দিয়েছিলাম এক হাজার টাকা, এবার সেই হোটেল ভাড়া দুই থেকে ৪ হাজার টাকা। খাবার হোটেলেরও একই অবস্থা। খাবারের মানের চেয়ে দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এসব পর্যটন এলাকার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এতে পর্যটন এলাকার ক্ষতি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, বড়দিনের ছুটিকে ঘিরে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং ছিল। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বাড়তি ভাড়া নিলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বড়দিনকে ঘিরে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য। কোনো নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। যে যেভাবে পারছে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি এখানে যোগদান করেছেন। জানুয়ারিতে পর্যটকদের ভরা মৌসুমে কুয়াকাটায় অভিযান চালানো হবে এবং সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। কেউ নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ