হোসাইন আমির কুয়াকাটা প্রতিনিধি
পর্যটন নগরী সাগর কন্যা কুয়াকাটায় কয়েকটি রেস্তোরাঁর বয়েরা রাস্তা থেকে টানাটানি ও ডাকাডাকিতে অতিষ্ঠ পর্যটকসহ এলাকাবাসী। পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত থাকা কয়েকটি সংগঠনের নেতারা এবিষয়ে নিষেধ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। উল্টো তাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুয়াকাটা চৌরাস্তা সী বিচের দিকে নামতে ডান দিকে বৈশাখী রেস্তোরাঁ এবং গাজী রেস্তোরাঁর বয়রা পর্যটক রেস্তোরাঁর ভিতরে নিতে রাস্তায় প্রতিযোগিতায় নামছে কার আগে কে পর্যটকের হাত ধরে টেনে ভিতরে নিবে সেই প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনি দুর থেকে লোক ভাড়া করে এনে দোকানে সামনে দাড়িয়ে ডাকাডাকি করছেন। যে কারণে অতিষ্ঠ আগত পর্যটকরা। অনেকেই এই অব্যবস্থাপনে কে দ্বায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একটি ভালো মানের পর্যটন কেন্দ্র এসব চলতে পারে না ।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক বেলাল ঢালী জানান, আমরা ওই রেস্তোরাঁর সামনেই থাকি সবসময় তাদের ডাকাডাকিতে অফিসে বসতে পারিনা এ নিয়ে পর্যটকরা আমাদের অনেক কথা বলে। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট আ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া জাহিদ বলেন, সরকার কুয়াকাটা ঢেলে সাজাতে অনেক কাজ করছেন সেখানেই গ্রুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই খাবার হোটেলের নামে পর্যটকদের অতিষ্ঠ করবে এট খুবই বেদনাদায়ক। আমরাও এদেরকে অনেক বার নিষেধ করছি কোন লাভ হয় না।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হয় কুয়াকাটা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ এর কাছে কয়েক বার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
কুয়াকাটা পৌরসভা মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এব্যাপারে বলেন গত কাল একটি ভিডিও দেখে আমি অনেক রাগারাগি করেছি তারপর তো বন্ধ হওয়ার কথা।
এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক মানবজমিনকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এভাবে তো হওয়ার কথা নয় যদি হয়ে থাকে দ্রুত আইন আনুগ ব্যবস্থা নিব।