হোসাইন আমির কুয়াকাট (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-
পর্যটন নগরী কুয়াকাটা সমুদ্রের সাথে প্রান প্রকৃতিরা হাসলেও এ সৌন্দর্য দেখার নেই কোন পর্যটক। মহামারি করোনার কারনে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আগমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাই গত বছরের মতো এবারও পর্যটক শূণ্যতা। প্রায় কয়েক হাজার ছোট বড় ব্যবসায়ীদের মাঝে নেই ঈদের উৎসব । পর্যটন শিল্পের সাথে যার জরিড়ে আছে শ্রমজিবীরা তারা বুক ফুফিয়ে কান্না কওে যা কারো করেছ বলতে পারছেনা। এ কারনে এখানকার পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা পড়েছে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। ব্যবসায়ীসহ জনপ্রতিনিধিদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে আবারও কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের প্রাণ ফিরে পাবে ।
খোজ নিয়ে জানাজায়,কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে এখন শুধুই নিরবতা। মাঝে মাঝে ঢেউয়ের গর্জণ ছাড়া কোথাও নেই কোলাহল। পর্যটক নেই বেকার হয়ে পরছে কয়েক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের নেই ঈদেও আমেজ। অনেক পরিবারে কোন ঈদের পেশাক জোটেনি ছেলে মেয়েদের। নেইকরোনার কারনে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাগরের এ রুপের সাথে তাল মিলিয়েছে প্রান-প্রকৃতিও। কিন্তু উপভোগ করার কেউ নেই। গত ২৬ মার্চ পরে ১০ দিন আগেই হোটেল মোটেল এবং ওয়াটার বাসসহ ট্যুরিস্ট বোট গুলো বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এর পড়ে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বার্মিজ মার্কেট, সীবিচের ঝিনুক মার্কেট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, শুটকির দোকান,খাবার রেস্তোরা,মিউজিয়াম,ইলিশপার্কসহ ছোট বড় মাঝারি সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কুয়াকাটা সৈকতের মাঝে মাঝে ভরঘুরে মত ঘুরে বেড়ায় ক্যামেরা ম্যান এবার নিরবে বসে থাকে সমুদ্র দিকে চেয়ে আর দীর্ঘ নিঃশাস করে কখন করোনা থাবা খেতে রেহাই পাবে মায়ার টানে কোন পর্যটক আসছে কিনা তা দেখার জন্য সৈকতে বসে থাকে আবার ক্ষুদ্র ব্যসায়ীরা দোকার খুলে দুলো ময়লা পরিস্কার করে দোকানে বসে জানান তাদের কস্টের কথা ।সৈকতে ক্যামেরা ম্যান আসিফ (২৪)জানায় পর্যটকদের ছবি করে সংসার চালাতাম কত দিন বসা কোন উপয় নেই এখন বেকার থাকায় কোন ঈদ হচ্ছে না আমার পরিবারে। হোটেল পাচ তারার ম্যানেজার রাসেল জানান ১টি বছরে মাত্র ৪ মাস হোটেল ব্যবসা হয়ে যা আয় হয়েছে তা ৮ মাস বসে বসে কর্মচারী বেতন দিয়ে মালিক এখন আর ফোনধরেন না কথাও বলে না । কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির জাকারিয়া জাহিদ বলেন পর্যটন শিল্পটাকে সরকার তেমন একটি গুরুত্ব না দেওয়ায় আমরা ট্যুরিজমে বিনিয়োগ করে লোকসানে আছি আপত কালীন নেই কোন প্রনোদনার প্যাকেজ অথচ এই পর্যটন খ্যাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজাস্ব নিচ্ছে।
থ্রী স্টার মানের হোটেল ওশান ভিউ‘র অপারেশন ম্যানেজার আল-আমিন দৈনিক মানবজমিনকে জানান-তারা সরকারের দেওয়া করোনা কালীন সু রক্ষার জন্য বিধি বিধানে যা আছে তা পালন করে পর্যটন কেন্দ্রকে খুলে দেওয়া জন্য দাবী জানান।
কুয়াকাটার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন দীর্ঘদিন ধরে পর্যটক শূণ্যতায় কুয়াকাটার সড়ক জনপদ এখন শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। একই সাথে সীমাহীন লোকসানের কবলে পড়েছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাই ঈদের পরই কুয়াকাটা আবার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।
কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পের কয়েক হাজার পরিবারে হবেনা ঈদ উৎসব
- মে ১৩, ২০২১
- ৬:২৪ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
সর্বশেষ
পিরোজপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
৫:৪২ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীতে মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত
৪:৫০ অপরাহ্ণ
মির্জাগঞ্জে এক বোটায় ২৫ লাউ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
৪:৪২ অপরাহ্ণ
গবেষণার জন্য অনুদান পেলেন ১২৪ জন চিকিৎসক
৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩
১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ
রাঙাবালীতে ইয়াবাসহ আটক-১
৯:৪৩ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
৮:০৫ অপরাহ্ণ
আমতলীতে গরমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে নারীর মৃত্যু
৭:৫৫ অপরাহ্ণ
বরিশালে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি
৭:৫০ অপরাহ্ণ