২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে : পুলিশ কমিশনার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন- কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে, সবাইকে শৃঙ্খলার সাথে সজাগ থাকতে হবে। আমরা যতো বেশী শৃঙ্খল থাকবো ততোধিক নিরাপদ থাকবো। বরিশাল নগরীর নাগরিকদের মধ্যে একে অন্যের পরিপূরকভাবে শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার যে ঐতিহ্য রয়েছে তা যেন কোন অপশক্তি ভাঙতে না পারে। তাই আমাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পাশাপাশি পুজা উদযাপন কমিটি সহ মনোনয়নকৃত ভলান্টিয়ারগণ যেন সজাগ থেকে আমাদের মোতায়েনকৃত পুলিশসহ অন্যান্য শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা প্রদান করার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

রোববার (১১ অক্টোবর)বরিশাল পুলিশ লাইন্সে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্তে নগরীর পুজা উদযাপন কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দর সাথে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন- মনস্তাত্ত্বিকভাবে শিথিল হলেও করোনার প্রাদুর্ভাব কমেনি। নিয়ম মেনে মহান আল্লাহর কৃপায় আমরা এখন পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে রয়েছি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি ভেঙে চললে দুঃখও রয়েছে। মাস্ক বিহীন কোন লোক পুজা মন্ডপে প্রবেশ করতে না পারে সেবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, সাদা পোশাকে সহ আমাদের ঘন ঘন পুলিশি টহল থাকবে। কোথাও কোন ব্যপ্তয় ঘটলে আমাদের অবগত করবেন। যতবেশি জানাবেন, যতোবেশী পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন ততো বেশি সমৃদ্ধ হয়ে আরও নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে পারবো।

উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্’র সভাপতিত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স এন্ড কাউনিয়া থানা) মোঃ মাসুদ রানার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম বার, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস) খান মুহাম্মদ আবু নাসেরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এক নজরে বরিশাল মেট্রোপলিটন এর কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় ৩৬টি ,এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ১৮টি ,বন্দর থানা এলাকায় ১১টি,কাউনিয়া থানা এলাকায় ১১ টি সর্বমোট ৭৬ টি পুজা মন্ডপ এর পুজা উদযাপন কমিটির উদ্দেশ্যে করণীয়/বর্জনীয় বিষয় সমূহঃ

১। আয়োজক কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা , ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ও বিসর্জনস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লিখিত আর্মড ব্যান্ড প্রদান করা।

৩। স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা পুজামন্ডপে আগত দর্শনার্থীদের দেহ যথাযথ ভাবে তল্লাশী করা।

৪। নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশীর জন্য পর্যাপ্ত নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা।

৫। স্বেচ্ছাসেবকদের নাম-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর আগামী ১৫/১০/২০২০খ্রিঃ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করতে হবে।

৬। মন্ডপসমূহ খোলামেলা থাকতে হবে। মন্ডপস্থলের চারপাশ খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। চারপাশ আটকানো থাকলে উপরে খোলা রাখতে হবে।

৭। মন্ডপের ভিতরে একসাথে ২০ জনের বেশী থাকবে না এবং আগত দর্শনার্থীরা প্রবেশ পথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মন্ডপে প্রবেশ করবেন এবং মন্ডপের ভিতরেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন।

৮। প্রত্যেক মন্ডপের প্রবেশ এবং বাহির পথে জীবানু নাশক দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৯। প্রতিটি মন্ডপের গেটে থার্মাল স্ক্যানার/তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্র রাখতে হবে।

১০। কোন ধরনের পটকা/আতশবাজি করা যাবে না।

১১। ‘‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’’। মাস্কবিহীন কোন দর্শনার্থী মন্ডপে প্রবেশ করবেন না। পুজা উদযাপন কমিটি মন্ডপের গেটে ফ্রি মাস্ক এর ব্যবস্থা রাখবেন।

১২। ভিতরে ও বাহিরে কোন প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না।

১৩। কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

১৪। পুষ্পাঞ্জলী/আড়তী ভার্চুয়ালী করতে হবে।

১৫। মন্ডপে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চত করতে হবে ।

সর্বশেষ