এ আল মামুন, বিনোদন প্রতিবেদকঃ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে থমকে বিশ্ব জনজীবন। মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। ক্রমশ প্রকট হচ্ছে করোনা ভাইরাস। লকডাউনের শুরুতেই দেশে বন্ধ হয়ে যায় সকল ধরনের শুটিং। যার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন নাট্যসংশ্লিষ্টরাও। শর্ত সাপেক্ষে গত ১৭ মে শুটিংয়ের অনুমতি মিলে টেলিভিশন নাটকের। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের সব শিল্প-কারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গত ৩১ মার্চ থেকে কাজ শুরু হলেও আন্তঃসংগঠনের একটি বিভ্রান্তিকর নোটিশ এর কারণে নাটক, ওয়েব সিরিজ ও টেলিফিল্মের শুটিং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সেই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট। বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সফলও হয় শীর্ষ এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে আন্তঃসংগঠন মনে করছেন তখন ক্রাউনের বিরোধীতা ছিল ইন্ডাস্ট্রির মঙ্গলের জন্য। যেখানে গোটা ইন্ডাস্ট্রি হাত গুটিয়ে নিয়েছিলো সেখানে ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট কাজের সাহস দেখিয়েছে। মিডিয়ার দুর্দিনে একমাত্র ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট ও মনে করছে, আন্তঃসংগঠনের সাথে বন্ধুত্বপরায়ণ সম্পর্ক রেখে মিলে-মিশে কাজ করতে।
ক্রাউনের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে নন্দিত অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা বলেন, ‘মিডিয়ার করুণ অবস্থায় ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট যেভাবে কাজ করছে, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। যেখানে এক সময়ের ব্যস্ত সব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার কারণে কাজ বন্ধ রেখে বসে আছেন সেখানে ব্যবসায়িক চিন্তা না করে ঝুঁকি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির হাল ধরেছেন ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্ট। যার ফলে টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে অনেকেরই দেশের দুর্দিনে বড় ধরণের উপকার হয়েছে।’