৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মুহাম্মাদ ইমাদুল হক ফিরদাউছ প্রিন্সঃ- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ পেলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগর শিক্ষক দেশ বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী । খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৫ এর (১০)১ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং বিভাগর শিক্ষক দেশ বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরীকে চার বছর মেয়াদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত করেছেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছাঃ রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে (নং-শিম/শাঃ ৩৭,০০,০০০০,০৭৯, ১১,২১১,১৭,৪২৯ নং স্মারকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি হলেন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ভাইস-চ্যান্সেলর।

প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বলে রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জানা গেছে।
খুকৃবির নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী এর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত : খ্যাতনামা গবেষক, কলামিস্ট, শিক্ষক ও কৃষি বিজ্ঞানী খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী কৃতিত্বের সাথে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক এবং ১৯৮৮ সালে কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০১ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে থাইল্যান্ডের ক্যাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন । তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জাপান ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, জাপানে পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসেবে মার্কার অ্যাসিস্টেড সিলেকশন বিষয় গবেষণা করেন। আন্তর্জাতিক (২৯টি) ও জাতীয় (২৪ টি) পর্যায়ে বিভিন্ন জার্নালে তার ৫৩ টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও প্রফেসর ড. চৌধুরী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত পটুয়াখালী কৃষি কলেজের (বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন এবং সুদীর্ঘ ৩৪ বছর সুনামের সহিত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। প্রফেসর ড. চৌধুরী এখন পর্যন্ত ৭ জন পিএইচডি ছাত্রের ডির্জাটেশন এবং ৭৫ জন এমএস ছাত্রের থিসিস সুপারভাইজ করেন। তিনি USAID, HEQEP, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সুষ্ঠভাবে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করেন। সফল কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর ড. চৌধুরী কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, কৃষি অনুষদের ডীন, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডীন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ডীন কাউন্সিলের আহবায়ক, হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের প্রধান, রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সহ-সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রচেষ্টায় ২০০৮ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম বারের মত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় এবং উক্ত শোকদিবস কমিটির আহবায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন । প্রফেসর ড. চৌধুরী ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং স্বৈরাচার বিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় তিনি ও তার পরিবার বিভিন্ন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের দ্বারা নিগ্রহের শিকার হন। তার বড় ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে চাকুরীচ্যুত হন।
প্রফেসর ড. আবুল কাসেম চৌধুরী ১৯৬২ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ।

সর্বশেষ