১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুলনা সদর থানার ওসি বুলবুল প্রত্যাহার

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় খুলনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়।

নগরীর রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. আবদুর রকিব খান (৫৯) রোগীর স্বজনদের হামলায় মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা তার পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। থানায় ওসি না থাকায় বুলবুল ওসির অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করতেন।

ডা. রকিবের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলামও অভিযোগ করেন হামলার পর সদর থানায় মামলা করতে গেলে ওসি তদন্ত বুলবুল মামলা না নিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করেন। এত আসামিরা পালিয়ে যায়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র ও উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, খুলনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। হরিণটানার ওসি আশরাফ হোসেনকে খুলনা থানার ওসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডা. রকিবের হত্যার ঘটনায় সব আসামিকে গ্রেফতার ও খুলনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুলের প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ উল্লেখযোগ্য এজাহারভুক্ত আসামিরা গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার জন্য তাদের কর্মবিরত স্থগিত করেন।

উল্লেখ্য, নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকাল ৫টায় অপারেশন হয়। রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় নেয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগম মারা যান।

এ ঘটনায় মৃত রোগীর স্বজনরা ১৫ জুন রাতে ক্লিনিকের পরিচালক চিকিৎসক রকিবকে মারপিট করে জখম করে। খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সূত্র- যুগান্তর

সর্বশেষ