২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গন্ধ শুঁকে করোনা শনাক্তে কুকুর নিচ্ছে প্রশিক্ষণ

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কুকুর গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস ধরতে পারে কি না তার পরীক্ষা সফলভাবে এগোচ্ছে বলে দাবি করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ইংল্যান্ডের মিলটন কিন্স নামে একটি শহরে ছয়টি কুকুরকে রোগ নির্ণয়কারী কুকুর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ড. ক্লেয়ার গেস্ট বলেছেন, আগে থেকে তাঁরা ইঙ্গিত পেয়েছিলেন যে এই কুকুরগুলোর গন্ধ শুঁকে ভাইরাস ধরতে পারার ক্ষমতা আছে। এর আগে তিনি কুকুরকে গন্ধ শুঁকে ম্যালেরিয়া, ক্যান্সার ও পারকিনসন রোগ ধরার কাজে প্রশিক্ষণ দেন।

ড. গেস্ট বলেছেন, ‘এই গবেষণার কাজ খুবই সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে। আমরা খুবই ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি। এই কুকুরগুলোর ঘ্রাণ অনুভূতি খুবই প্রখর।’

নরমান, ডিগবি, স্টর্ম, স্টার, জ্যাসপার আর অ্যাশার—এই ছয়টি কুকুরকে লন্ডনের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের মোজা ও মাস্ক থেকে ভাইরাসের গন্ধ শোঁকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে তিন হাজার ২০০টি নমুনা তাঁরা আনতে পারবেন। বিজ্ঞানীরা দেখবেন কোনগুলোর মধ্যে ভাইরাস আছে। এরপর কুকুরগুলোকে বলা হবে সেগুলোর মধ্য থেকে পজিটিভ নমুনাগুলো শনাক্ত করতে। দেখা হবে তারা পজিটিভ আর নেগেটিভ আলাদা করতে পারছে কি না এবং প্রশিক্ষকদের পজিটিভ নমুনাগুলো সম্পর্কে সতর্ক করতে পারছে কি না।

ড. গেস্ট বলেছেন, ‘অ্যাশার নামে তাঁর কুকুরটি প্রশিক্ষণে ‘মাত্রাতিরিক্ত’ ভালো ফল দেখাচ্ছে। ককার স্প্যানিয়েল প্রজাতির কুকুরটি খুবই দক্ষ ও চালাক। সে এরই মধ্যে শিখে গেছে কিভাবে ম্যালেরিয়া ও পারকিনসন রোগ শনাক্ত করতে হয়। কাজেই আমরা জানি এ কাজে অ্যাশার খুবই দক্ষতার পরিচয় দেবে। প্রশিক্ষণের সময় অ্যাশার নির্ভুলভাবে ঘ্রাণ চিহ্নিত করতে পারছিল।’

ড. গেস্ট ও তাঁর সঙ্গে যাঁরা প্রশিক্ষণের কাজ করছেন তাঁরা আশা করছেন, এই প্রকল্প সফল হলে তা আরো বিস্তৃত করা হবে এবং শনাক্তকারী কুকুরগুলো প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ ব্যক্তির ঘ্রাণ নিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ করবে। তাদের সম্ভবত বিমানবন্দরে কাজে লাগানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। টেস্টিং কেন্দ্রগুলোতেও তারা কাজ করতে পারবে। এই ট্রায়াল বা পরীক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকার পাঁচ লাখ পাউন্ড অর্থ ব্যয় করেছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

সর্বশেষ