১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গর্ভধারণের চটজলদি উপায়, জানুন সহজেই

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
তাড়াতাড়ি বাচ্চা চান? বিয়ের পর সময় নষ্ট না করে গর্ভবতী হতে চান? নিচের পন্থাগুলি মেনে চললে আপনার সেই স্বপ্ন দ্রুতই সফল হবে। কী করতে হবে, কী খেতে হবে, কোনটা একেবারেই করবেন না, কোন খাবার একেবারেই খাবেন না, জেনে নিন বিশদে।
এক নজরে দেখে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে চটজলদি গর্ভধারণের উপায়যে কোনও কারণেই হোক, জলদি বাচ্চা চাই আপনার৷ হয়তো বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, হয়তো এমন চাকরি যে বছরের মধ্যে অর্ধেক দিনই বাইরে থাকতে হয় বা দুই সন্তানের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি ব্যবধান রাখার ইচ্ছে লালন করেন মনে আর এদিকে কিছুতেই সে ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না৷ এক-একটা করে মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে মানসিক চাপ, কখনও বা পারিবারিক চাপ বাড়ছে,
কিন্তু হচ্ছে না কিছু৷ কেউ কেউ বুদ্ধি দিচ্ছেন আইভিএফ তথা টেস্টটিউব বেবির৷ কিন্তু অত তাড়াতাড়ি ও পথে হাঁটার বান্দা আপনি নন৷ তাহলে? তাহলে আর কি, সহজ-সরল যে পথগুলির কথা আলাদা করে মাথায় আসেনি কখনও, ডাক্তাররা যে সব কথা বলে বলে হার মেনেছেন, সে সব একবার চেষ্টা করে দেখুন৷ কী সে সব? আসুন দেখে নেওয়া যাক৷

 

গর্ভধারণের সহজ উপায়- গর্ভধারণের কথা মাথায় আসা মাত্র ডাক্তার দেখিয়ে নিন৷ অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ দেখে নিন, সব ঠিকঠাক আছে কিনা৷ ফোলিক অ্যাসিড সাপলিমেন্ট খাওয়া শুরু করবেন কিনা জেনে নিন৷ কারণ গর্ভধারণের সময় এই ভিটামিনটির মাত্রা শরীরে ঠিকঠাক না থাকলে সন্তানের জন্মগত কিছু অসুখ হতে পারে৷ । ধূমপান ছেড়ে দিন৷ ভাবী মা তো ছাড়বেনই, ভাবী বাবাকেও ছাড়তে হবে৷ তা না হলে গর্ভসঞ্চারে অসুবিধে হতে পারে৷

 

আর গর্ভধারণের পরও যদি ধূমপান চালিয়ে যান, গর্ভস্থ সন্তান নানান রোগ-বালাই নিয়ে জন্মাতে পারে৷। একটু-আধটু ব্যায়াম শুরু করুন৷ ওজন খুব বেড়ে গেলে তো বিশেষ করে৷ বেশি ওজন অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ ভাবী মা ও গর্ভস্থ সন্তানেরও নানান ক্ষতি হয় এ থেকে৷ কাজেই রোজকার রুটিনে অল্পস্বল্প হাঁটাহাটি, সিঁড়ি ওঠানামা যোগ করুন৷ লাগাতার বসে থাকা ও শুয়ে-বসে ফোনে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন৷ যখনই কথা বলবেন, হাঁটতে হাঁটতে বলুন৷ এতে শরীর অভ্যস্থ হয়ে গেলে শুরু করুন মর্নিং বা ইভনিং ওয়াক৷ অনেকে আবার জুম্বা বা যোগা ক্লাসেও যোগ দেন৷ দু’জনে একসঙ্গে করলে তো কথাই নেই৷ ব্যায়ামের পাশাপাশি নৈকট্যও বাড়বে৷ কমবে মানসিক চাপ৷ সফল গর্ভসঞ্চারের জন্য যা একান্ত দরকার৷

 

মানসিক চাপ বাড়লে গর্ভসঞ্চারে অসুবিধে হয়৷ আর যত অসুবিধে হয়, মাস পেরোয়, বছর পেরিয়ে যায়, তত বাড়ে মানসিক চাপ৷ এই আবর্ত থেকে বেরোতে না পারলে খুব মুসকিল৷ কাজেই মানসিক চাপ কমানোর পন্থা খুঁজুন৷ ভাল সিনেমা-থিয়েটার বা হাসির অনুষ্ঠান দেখা, ম্যসাজ বা মেডিটেশনের সাহায্য নেওয়া, বেড়ানো ইত্যাদি করে কাজ না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো কাউন্সেলিং করাতে পারেন৷ মোদ্দা কথা, যে কোনও উপায়ে দু-জনেরই মানসিক চাপ কমাতে হবে৷ রিল্যাক্সড থাকতে হবে৷
আবার বাদ দিতে হবে কয়েকটি৷
যেমন- ট্রান্স ফ্যাট আছে যে সব খাবারে, যেমন, কেক, পেস্টি্র, কুকিজ থেকে শুরু করে বেক করা খাবার, ডুবো তেলে ভাজা, বনস্পতিতে বানানো লুচি-পরোটা বা অন্য ভাজাভুজি, মার্জেরিন ইত্যাদি বেশি খেলে ডিম্বাণুর মান খারাপ হতে পারে৷ কাজেই এ সময় বর্জন করুন৷ ডিম্বাণুকে সুস্থ রাখতে ভাল ফ্যাটের জুড়ি নেই৷
অতএব অল্প করে বাদাম, বীজ, সরষে_সূর্যমুখী-সয়াবীন বা অলিভ তেল খান৷ অ্যাভোক্যাডো ও ঠান্ডা জলের মাছ খান সপ্তাহে ২-৩ দিন৷ ঘি, মাখন, তৈলাক্ত মাংস ও ডিমের কুসুম খাওয়া আগের চেয়ে কমান৷ খান কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট৷ অর্থাৎ বাদামি চালের ভাত, খোওয়ালা ডাল, আটার রুটি, হোল গ্রেইন পাস্তা-নুডুল, শাক, সবজি, ফল বিনস৷ বাদ দিন সাদা চালের ভাত, ময়দা, চিনি, মিষ্টি, ফলের রস৷ খান উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যেমন, মটর শুঁটি, বিনস, সয়াবিন, টোফু, পনির, বাদাম, বীজ, ছোলা, রাজমা, কিনোয়া ইত্যাদি৷ অল্প করে দুধ ও দুধে বানানো খাবার খান রোজ৷ জল খান পর্যাপ্ত৷ অল্প চা-কফিও খেতে পারেন৷ তবে চিনি না মিশিয়ে৷ বিশেষ সতর্কতা এখানে যে যে নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে, যা যা খেতে বলা হয়েছে, তা যে কেবল মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য এমন কিন্তু নয়, স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই সব নিয়ম মেনে চলতে হবে আর তাতেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো৷

সর্বশেষ