তাড়াতাড়ি বাচ্চা চান? বিয়ের পর সময় নষ্ট না করে গর্ভবতী হতে চান? নিচের পন্থাগুলি মেনে চললে আপনার সেই স্বপ্ন দ্রুতই সফল হবে। কী করতে হবে, কী খেতে হবে, কোনটা একেবারেই করবেন না, কোন খাবার একেবারেই খাবেন না, জেনে নিন বিশদে।
এক নজরে দেখে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে চটজলদি গর্ভধারণের উপায়যে কোনও কারণেই হোক, জলদি বাচ্চা চাই আপনার৷ হয়তো বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, হয়তো এমন চাকরি যে বছরের মধ্যে অর্ধেক দিনই বাইরে থাকতে হয় বা দুই সন্তানের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি ব্যবধান রাখার ইচ্ছে লালন করেন মনে আর এদিকে কিছুতেই সে ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে না৷ এক-একটা করে মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে মানসিক চাপ, কখনও বা পারিবারিক চাপ বাড়ছে,
কিন্তু হচ্ছে না কিছু৷ কেউ কেউ বুদ্ধি দিচ্ছেন আইভিএফ তথা টেস্টটিউব বেবির৷ কিন্তু অত তাড়াতাড়ি ও পথে হাঁটার বান্দা আপনি নন৷ তাহলে? তাহলে আর কি, সহজ-সরল যে পথগুলির কথা আলাদা করে মাথায় আসেনি কখনও, ডাক্তাররা যে সব কথা বলে বলে হার মেনেছেন, সে সব একবার চেষ্টা করে দেখুন৷ কী সে সব? আসুন দেখে নেওয়া যাক৷
গর্ভধারণের সহজ উপায়- গর্ভধারণের কথা মাথায় আসা মাত্র ডাক্তার দেখিয়ে নিন৷ অবশ্যই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ দেখে নিন, সব ঠিকঠাক আছে কিনা৷ ফোলিক অ্যাসিড সাপলিমেন্ট খাওয়া শুরু করবেন কিনা জেনে নিন৷ কারণ গর্ভধারণের সময় এই ভিটামিনটির মাত্রা শরীরে ঠিকঠাক না থাকলে সন্তানের জন্মগত কিছু অসুখ হতে পারে৷ । ধূমপান ছেড়ে দিন৷ ভাবী মা তো ছাড়বেনই, ভাবী বাবাকেও ছাড়তে হবে৷ তা না হলে গর্ভসঞ্চারে অসুবিধে হতে পারে৷
আর গর্ভধারণের পরও যদি ধূমপান চালিয়ে যান, গর্ভস্থ সন্তান নানান রোগ-বালাই নিয়ে জন্মাতে পারে৷। একটু-আধটু ব্যায়াম শুরু করুন৷ ওজন খুব বেড়ে গেলে তো বিশেষ করে৷ বেশি ওজন অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ ভাবী মা ও গর্ভস্থ সন্তানেরও নানান ক্ষতি হয় এ থেকে৷ কাজেই রোজকার রুটিনে অল্পস্বল্প হাঁটাহাটি, সিঁড়ি ওঠানামা যোগ করুন৷ লাগাতার বসে থাকা ও শুয়ে-বসে ফোনে কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করুন৷ যখনই কথা বলবেন, হাঁটতে হাঁটতে বলুন৷ এতে শরীর অভ্যস্থ হয়ে গেলে শুরু করুন মর্নিং বা ইভনিং ওয়াক৷ অনেকে আবার জুম্বা বা যোগা ক্লাসেও যোগ দেন৷ দু’জনে একসঙ্গে করলে তো কথাই নেই৷ ব্যায়ামের পাশাপাশি নৈকট্যও বাড়বে৷ কমবে মানসিক চাপ৷ সফল গর্ভসঞ্চারের জন্য যা একান্ত দরকার৷