১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় আগাম তরমুজের বাম্পার ফলন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা, পটুয়াখালী, প্রতিনিধি
আগাম তরমুজের বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে রসালো সুস্বাদু মিষ্টি তরমুজের চাষ। গত বছর বাজার দর ভালো পাওয়ায় এ বছর আরো বেশি জমিতে আবাদ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করছেন রাজধানী ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। অসময়ে বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার দু’একটি ইউনিয়ন ব্যতিত অন্য সব ইউনিয়নে ফলন অনেকটা ভালো হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
এদিকে, অসময়ে বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে দ্বীপ ইউনিয়ন চরকাজল ও চর বিশ্বাস ইউনিয়নে আগাম তরমুজ চাষে দ্বিগুণ খরচে অর্ধেক ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সরেজমিন দেখা যায়, গলাচিপা পৌর শহরের রামনাবাদ নদীর তীরে বিস্তীর্ণ প্রান্তজুড়ে দেখা যায় যেন সবুজের সমাহার। সবুজ ক্ষেতে রসালো ফল তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে সুখের হাসি।
অধিক লাভের স্বপ্নে বিভোর কৃষকরা। এ ছাড়া উপজেলার গলাচিপা সদর, কলাগাছিয়া, গজালিয়া, রতনদী তালতলী, পানপট্টি, ডাকুয়া, চর কাজল ও চর বিশ্বাস ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ প্রান্তজুড়ে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। বড় আকারের প্রতিটি তরমুজ ৭ থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। চাষিরা জানান, গত বছরের তুলনায় সার, বীজ, কীটনাশক ও তেলের দাম বেশি হওয়ায় খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তবে সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হলে বিস্তীর্ণ জমিতে চাষাবাদ সহজ হতো।
চর বিশ্বাস ইউনিয়নের কৃষক মাহাবুব সিকদার জানান, নির্দিষ্ট সময়ে গাছে যখন ফলন আসে, তখনই বৈরী আবহাওয়া, অকাল বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় ছোট ছোট ফলগুলো জ্বলে মাটিতে পড়ে যায়। কুয়াশায় ঢেকে যায় ফলের উপরিভাগ। আবার বৃষ্টির পানিতে জমির মাটি থাকে ভেজা। যার কারণেই তরমুজ চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়ে যায়।
গাছের বয়স বেশি হয়ে গেলে ফল না আসা পর্যন্ত পুনরায় তরমুজ গাছ তাজা রাখতে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয়। ফলে দ্বিগুন টাকা তরমুজ চাষীদের খরচ করতে হয়, অনেকেরই গুণতে হয় লোকসান। তিনি বলেন, ‘আমি এ বছর সাড়ে ৭ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছি। দশ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। ক্ষেতের ছোট তরমুজ বড় হয়ে গেলে আশা করি ক্ষতির পরিমান কিছুটা পুসিয়ে উঠতে পারবো। ’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার সাংবাদিক সঞ্জিব দাসকে বলেন,স অসময়ে বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে কিছু কিছু এলাকায় সামান্য ক্ষতি হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ চাষিদের কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। গলাচিপায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করছি।

সর্বশেষ