২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গলাচিপায় পুত্রদ্বয়ের হাতে পিতা মাতা লাঞ্চিত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডে পূত্রের আঘাতে পিতা মোঃহায়দারাজ ফকির (৭০) নামের এক বৃদ্ধ আহত হয়ে, গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাসূত্র জানা গেছে, উপজেলার নলুয়াবাগী গ্রামের ফকির বাড়ি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জমাজমি ও টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ২৬ জুন রাতে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে ঘর-দুয়ার ভাংচুর ও পিতা-মাতাকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পিতা মোঃহায়দারাজ আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ ঘটনায় ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪০), জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও পুত্রবধূ মাফুজা বেগম (৩০) এই তিন জনকে অভিযুক্ত করে গলাচিপা থানায় অভিযোগ করেন পিতা হায়দারাজ। সামাজিক অবক্ষয়ের একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ। যা একে বারে কাম্য নয়। পিতা হায়দারাজ ও মাতা হাসিনা বেগম এর পরিবারে চার ছেলে এক মেয়ে। সকলেই ভিন্ন ভিন্ন সংসার নিয়ে ব্যাস্ত বৃদ্ধ পিতা-মাতার খোজ খবর নেওয়ার সময় নেই, তবে পিতা-মাতার উপর সন্তানের অধিকার বাস্তবায়িত করার অপচেষ্টা অব্যাহত।
বিষয়টি নিয়ে হায়দারাজ ফকির বলেন, কোন সন্তান পিতা-মাতার গায়ে হাত তুলতে পারে এটা কি ভাবে বলব। আামার মেঝ ছেলে মনিরুল ও সেজ ছেলে জহিরুল ওড়া বাড়িতেই থাকত। ওদের অত্যাচারে আমি ও অন্যেরা অতিষ্ঠ। ওদের অন্যায় অসামাজিক কাজকর্মে অনেক টাকা-পয়সা নষ্ট হয়েছে। সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি বিভিন্ন সময়। তবে কোন দিন ভাবতেও পারিনি যে ওড়া আমার গায়ে হাত তুলবে। সন্তান বলে পরিচয় দিতে ঘিন্না হয়। এই কাজের জন্য বিচার না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম বলেন, বাহে জমি বেইচা টাকা পয়সা আর ভাইগো দিয়া দিছে। আমি দশটা টাহাও পাইলাম না। এই নিয়া আমি ঝামেলা করছি। এ বিষয় জানতে চাইলে গোলখালী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম প্যাদা বলেন, আমি ঘটনা স্থানে গিয়েছি এবং হায়দারাজ ফকিরের বসত ঘর ভেঙে দুই ভাই চুরমার করেন এটা সত্যি। ঘটনা স্থল পরিদর্শন কর গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী গ্রামের আজাহার দফাদার সত্যতা স্বীকার করেন এবং উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে গলাচিপা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ বাবার অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ