৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঋণের চাপে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দোকানির আ*ত্ম*হ*ত্যা জনপ্রতিনিধিরা খবর নেয়নাঃ রাস্তা মেরামত করলো এলাকাবাসী ব্যয় কমাতে সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ ও যানবাহন কেনা বন্ধ মহররম মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত--- হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না: মাহমুদুর রহমান মান্না বরিশালে ২ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক চাচাতো বোনকে ধ*র্ষ*ণের পর হ*ত্যার অভিযোগে বাকেরগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা আমতলীতে দেনার ভয়ে ফেইসবুকে স্টাটাস দিয়ে গলায় ফা*স লাগিয়ে আত্মহ*ত্যা দখলমুক্ত হলো তাপবিদুৎ কেন্দ্র'র জমি ববিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা, সংবাদকর্মীসহ আহত ৩

গলাচিপায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নাজুক অবস্থা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস ,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে গলাচিপা পৌরসভার একাধিক পুকুর ও স্থান। এ ছাড়া দৈনন্দিন সৃষ্ট বর্জ্যগুলো ফেলার জন্য ময়লার বাক্স দিলেও সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় রাস্তাগুলোতে ময়লার স্তূপ তৈরি হওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, সেইসাথে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণুু। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে পৌরসভাবাসী।
জানা গেছে, গলাচিপা পৌর এলাকার হোটেল আল মামুনের পশ্চিম পাশের একটি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলছে স্থানীয়রা। এর নিকটবর্তী দু’টি মাদরাসা, গলাচিপা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, এন জেড মাদরাসা, ডা: জসিম মুকুল হাসপাতাল, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ৭ নং ওয়ার্ডের পানির ট্যাঙ্কির পূর্বপাশের একটি পুকুর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পশ্চিম পাশ, ফিডার রোড, শের-ই-বাংলা রোড, মুজিব নগর রোড, কালিখলা মন্দিরের দক্ষিণ পাশসহ একাধিক স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। গলাচিপা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। তবে ধীরগতিতে খালটি খননের কাজ চলছে। তবে কিছু স্থানের ময়লা সংগ্রহ করা হলেও ফেলা হচ্ছে ৩ নং ওয়ার্ডের খোলামাঠে।
৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম সুমন জানান, ময়লা আবর্জনায় ভরা পুকুরটির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে পৌর মেয়রের সাথে পরামর্শ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, একাধিক স্থানে ড্রেন না থাকা, বাসা-বাড়ির গোসলখানা ও বাথরুমের লাইনগুলো পুকুর, ডোবা বা খালগুলোতে দেয়া হয়েছে।
গলাচিপা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সোহরাব আলী জানান, গলাচিপার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই নাজুক। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়া ও বর্জ্যব্যবস্থাপনা না থাকায় পুকুরসহ বিভিন্ন স্থান আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে গলাচিপা পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ময়লা কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টরের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর আল মামুন মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে তার অফিসে যাওয়ার আহ্বান জানান।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগের প্রধান মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, এ দূষিত খালগুলো পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের নানাবিধ অসুখের কারণ হতে পারে। প্লাস্টিক ও মেডিকেল বর্জ্যব্যবস্থাপনা না করতে পারলে উপকূলের নদীগুলোর ওপরও মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে, ফলে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্যের প্রজনন ক্ষেত্রগুলো নষ্ট হবে। এক্ষেত্রে পৌরসভা দ্রুততার সাথে আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলের মানুষের স্বাভাবিক পরিবেশ ও নদীগুলোর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।

সর্বশেষ